প্রতীকী
Bangla Jago Desk: সোনার মূল আমদানি শুল্ক ১৫% থেকে কমিয়ে ৬% করেছে কেন্দ্র।২৩জুলাই পর্যন্ত ঘরোয়া সোনার মূল্য ৫শতাংশ কমে গেছে। তার জেরে বাজেটের পর থেকে সোনার দাম প্রায় ৫২০০ টাকা কমে গেছে।এর মাঝে বাজারের ওঠাপড়া লেগেই আছে।দেখা যায়,গত শনিবার প্রতি ১০ গ্রাম খুচরো পাকা সোনা ৫৫০ টাকা কমে যায়। আর আমদানি শুল্ক কমানোর ফলে বাজারে সোনার চাহিদা বহু গুণ বেড়ে গেছে। এসবের মাঝে কেন্দ্র এসজিবি প্রকল্প নিয়ে আসতে চায় সেপ্টেম্বরে। মূলতঃ এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল,সোনার আমদানি শুল্ক কমিয়ে, এই ধাতুর মূল্যমান ঠিক রাখা। যাতে দামী এই ধাতুর চাহিদা ঠিক থাকে।সেই লক্ষ্যে এই এসজিবি প্রকল্প আনা হচ্ছে।
[ আরও পড়ুন: Dragon Fruit Farming: লাভের পরিমাণ বেশি, ড্রাগন ফলের চাষ করে লাভবান হলেন মালদার পরিমল]
সার্বভৌম গোল্ড বন্ড স্কিমের মূল লক্ষ্য যাতে বিনিয়োগের বহর বাড়ে আগামীদিনে। এক আধিকারিক এবিষয়ে আরও জানিয়েছেন,এই এসজিবি প্রকল্প অত্যন্ত ব্যয়বহুল একটি বিষয়।যার ফলে বাজেট ঘাটতি মিটিয়ে ফেলা সম্ভব হতে পারে। যেহেতু এই প্রকল্পের সঙ্গে বিনিয়োগ সংক্রান্ত স্বার্থ জড়িত রয়েছে,তাই ভেবে চিন্তে তা করা হচ্ছে।এক্ষেত্রে সামাজিক কোনও বিষয় যুক্ত না থাকায় এই পরিকল্পনায় দীর্ঘমেয়াদি সিদ্ধান্তের কথা ভাবা হচ্ছে। কেউ কেউ মনে করেন,সোনার পাচার রুখতে এই শুক্ল কমানোর বিষয়টি কাজ করতে পারে। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে সোনার দাম বেড়ে গেছে। বাজার বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন,এই আমদানি শুল্ক কমালে আসলে বাজারে তার প্রভাব পড়ে। তাই বাজারে সোনার চাহিদা অব্যাহত রাখতে বার্ষিক সুদের হার ২.৫শতাংশ রাখার পক্ষে অভিমত প্রকাশ করেছেন এক শ্রেণির মানুষ।
উল্লেখ্য,গত ২৩ জুলাই সংসদে বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।সেই বাজেটে সোনার আদমানি শুল্ক কমানোর কথা ঘোষণা করেন তিনি। সরকার চাইছে বাজারে আরও বেশি করে বিনিয়োগ হোক।সেই লক্ষ্যে এই সার্বভৌম গোল্ড বন্ড স্কিম কার্যকর করার তত্পরতা জারি আছে। অর্থাত্ এই বন্ডগুলির ক্ষেত্রে ১ গ্রামের মৌলিক একক সহ গ্রামগুলিকে সোনার গুণিতক হিসাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। বন্ডের মেয়াদ হবে ৮ বছরের জন্য। এই স্বার্বভৌম গোল্ড বন্ড স্কিমে বিনিয়োগ করলে মোটা টাকা লাভ পাবেন বিনিয়োগ কারীরা। তাই পুজোর আগে এই স্বার্বভৌম গোল্ড বন্ড স্কিম নিয়ে চমকপ্রদ কিছু ঘোষণা করা হতে পারে বলে কেন্দ্রের আধিকারিকরা আশা করছেন।
বলা যায়,বাজারে অর্থের মূল্য হ্রাস পায় অনেক সময়।টাকার দাম ওঠাপড়া পড়ে।কখনও কখনও টাকার দাম কমে যায়।এখন যদি কেউ সোনা কিনে রাখে তাহলে সেই সোনা বাজারে সম্পদ হিসেবে ব্যবহার হতে পারে।তাই স্বর্ণ সম্পদের সঠিক ব্যবহার আর বাজারে নগদের চাহিদা বাড়ানোর মধ্যে সামঞ্জস্য রাখার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার এই বাজার উপযোগী সিদ্ধান্ত লাগু করতে চাইছে বলে সোনার নির্মাতা থেকে সোনার ব্যবসায়ী সকলের বিশ্বাস।