চিত্র: সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: গোটা মহারাষ্ট্রে এই মুহূর্তে বইছে খুশির হাওয়া। কুড়িটা বছর পর একসঙ্গে মিছিল করতে দেখা যাবে দুই ঠাকরে ভাই উদ্ধব ও রাজকে। যাবতীয় সব মতপার্থক্য সরিয়ে বিজেপির প্রস্তাব দেওয়া ‘তিন ভাষা ফর্মুলা’র বিরোধিতার জানিয়ে পথে নামবেন তাঁদের দল(Thackeray Unity)। স্বাভাবিকভাবেই, এখন এই প্রশ্নই ঘোরাঘুরি করছে যে শীঘ্রই কি আবার দুই ভাই হাত মেলাবে একে অপরের সঙ্গে। বলা ভালো, গোটা মারাঠা ভূমে এখন এটি একটি আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। বর্তমানে হিন্দি আগ্রাসন ইস্যুতে উত্তাল গোটা মহারাষ্ট্র। কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিস ‘তিন ভাষা ফর্মুলা’ চালু করার কথা ঘোষণা করেছিলেন। এরপরই এই ব্যাপারে সরব হতে দেখা যায় উদ্ধব ও রাজ ঠাকরেকে। যদিও পরিস্থিতি অনুকূল নয় দেখে তা প্রত্যাহার করেন ফড়ণবিস। কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রতিবাদে নামার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দুই ভাইয়ের তরফ থেকে। উদ্ধব শিবিরের মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত এই সংক্রান্ত দলীয় কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন।
[আরও পড়ুন: BJP leader: পাটনায় গুলিতে ঝাঁজরা বিজেপি নেতা, বিরোধীদের নিশানায় নীতীশ সরকার]
সেই অনুযায়ী শনিবার বিজেপির ‘হিন্দি আগ্রাসন’এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে একসাথে পথে নামছে শিবসেনা (উদ্ধব শিবির) এবং রাজ ঠাকরের মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (এমএনএস)। বলা বাহুল্য, গোটা মহারাষ্ট্র এখন সেটার অপেক্ষায় রয়েছে(Thackeray Unity)। আপাতত সকলের নজর সেদিকেই। রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন যে এই কর্মসূচি থেকে কিছু বড়সড় ঘোষণা হতে পারে দুই দলের তরফ থেকে। অনেকে মনে করছেন যে ফের হয়তো বিবাদ ভুলে এক হতে পারেন দুই ভাই। এমএনএস ও শিবসেনার এক হবার সম্ভাবনা দেখছেন অনেকে।
FB POST: https://www.facebook.com/Banglajagotvofficial
প্রসঙ্গত, প্রায় গোটা মহারাষ্ট্রই একসময় বালাসাহেব ঠাকরের আদর্শে দীক্ষিত ছিল(Thackeray Unity)। অধিকাংশ মানুষই তখন শিবসেনা ছাড়া কিছু বুঝতেন না। উদ্ধব ও রাজ, দুই ভাইয়ের একসাথে কাজ করাকে একতার এক উদাহরণ হিসেবে ধরতেন মহারাষ্ট্রের বাসিন্দারা। তখন প্রায় সকলেই মনে করতেন যে দুই ভাই এক থাকলে মহারাষ্ট্রে কোন বিরোধী টিকতে পারবে না। কিন্তু প্রায় বছর ২০ আগে আলাদা হয়ে যায় দুই ভাই, যা দেখে মন ভাঙ্গে অনেকের। তবে এতদিন পর যখন ফের তাঁরা একসাথে একই ইস্যুতে সরব হয় মিছিলে নামবেন, তা নিয়ে আগ্রহ ও উন্মাদনা তুঙ্গে পৌঁছে গেছে রাজ্যবাসীর। এবার দেখার বিষয় যে এখান থেকে এক হয়ে লড়াই করার বার্তা দেওয়া হয় কিনা দুই দলের তরফ থেকে।