গ্রাফিক্স: নিজস্ব
Bangla Jago Desk: মাতৃত্বকালীন ছুটি প্রতিটি মহিলার মৌলিক অধিকার। এটি কখনই অস্বীকার করা যাবে না। এমনটাই রায়দান করল সুপ্রিম কোর্ট। তামিলনাড়ুর একজন মহিলা সরকারি শিক্ষিকার দায়ের করা একটি আবেদনের ভিত্তিতে এই যুগান্তকারী পর্যবেক্ষণ করেছে শীর্ষ আদালত। ওই মহিলাকে দ্বিতীয় বিবাহের ফলে সন্তানের জন্মের পর মাতৃত্বকালীন ছুটি পাননি। আদালতের কাছে আবেদনের সময় ওই মহিলা জানিয়েছিলেন, তাঁর প্রথম বিবাহ থেকে দুটি সন্তান থাকার কারণে তাঁর মাতৃত্বকালীন ছুটির আবেদন খারিজ করা হয়েছিল।
তামিলনাড়ুর একটি নিয়ম আছে যে মাতৃত্বকালীন সুবিধা কেবল প্রথম দুটি সন্তানের জন্যই পাওয়া যাবে। এই প্রসঙ্গে ওই মহিলার আইনজীবী কেভ মুথুকুমার সুপ্রিম কোর্ট জানান, দ্বিতীয় বিয়ের পরই তিনি সরকারি স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর সন্তানের জন্মের পরে মাতৃত্বকালীন ছুটি পাননি। ওই মহিলার আবেদনের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের তরফে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হ্য়, মাতৃত্বকালীন ছুটি মাতৃত্বকালীন সুবিধার নিয়মের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অধিকার। কোনও প্রতিষ্ঠান কোনও মহিলাকে মাতৃত্বকালীন ছুটির অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পারে না।
উল্লেখ্য, মাতৃত্বকালীন ছুটি সংক্রান্ত একটি মামলায়, সুপ্রিম কোর্ট ২০১৭ সালে মাতৃত্বকালীন সুবিধা আইন সংশোধন করে। এরপরেই ছুটি ১২ সপ্তাহ থেকে বাড়িয়ে ২৬ সপ্তাহ করা হয়। প্রথম এবং দ্বিতীয় সন্তানের জন্য সকল মহিলা কর্মচারীদের মাতৃত্বকালীন ছুটি দেওয়া হয়। যে সকল মায়েরা সন্তান দত্তক নেন, তারাও ১২ সপ্তাহের মাতৃত্বকালীন ছুটির অধিকারী। সুপ্রিম কোর্ট বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে মাতৃত্বকালীন ছুটির অধিকারের উপর জোর দিয়েছে। সেইসঙ্গে শীর্ষ আদালতের তরফে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়, মাতৃত্বকালীন ছুটি সকল মহিলা কর্মচারীর অধিকার। একথায় বলা যায়, মাতৃত্বকালীন ছুটি মাতৃত্বকালীন সুবিধার একটি অবিচ্ছেদ্য উপাদান ও মহিলাদের প্রজনন অধিকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।