চিত্র : সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: মহারাষ্ট্রের বুলঢানা জেলার কৃষক নেতা কৈলাস অর্জুন নাগাড়ে সেচের জল না পেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে ১৪টি গ্রামে সেচের জল পৌঁছানোর দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু সরকার তাঁর দাবি মানেনি বা কোনও আশ্বাসও দেয়নি। অবশেষে হোলির আগের দিন বিষপান করে চরম সিদ্ধান্ত নেন এই কৃষক নেতা।
৪৩ বছর বয়সি কৈলাস অর্জুন নাগাড়ে শুধু নেতা নন, নিজেও একজন কৃষক ছিলেন। ২০২০ সালে মহারাষ্ট্র সরকার তাঁকে ‘ইয়ং ফার্মার অ্যাওয়ার্ড’ দিয়েছিল। কৃষকদের অধিকারের জন্য তিনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন, বিশেষ করে বুলঢানার ১৪টি গ্রামে সেচব্যবস্থা উন্নত করার জন্য। কিন্তু সরকার তাঁর দাবি উপেক্ষা করায় তিনি হতাশ হয়ে পড়েন।
শুক্রবার সকালে শিবনি আরমাল গ্রামের একটি খেত থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। জামার পকেটে পাওয়া যায় তিন পাতার সুইসাইড নোট। তাতে স্পষ্টভাবে লেখা ছিল, “যতদিন না আমাদের দাবি পূরণ হচ্ছে, আমার দেহ যেন সৎকার করা না হয়।”
কৈলাসের স্ত্রী সুশীলা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, কৈলাসের স্ত্রী সুশীলা সরাসরি প্রশাসনকে দায়ী করে বলেন, “সরকারের অনীহাতেই আমার স্বামীর জীবনটা শেষ হয়ে গেল। প্রশাসন যদি আমাদের দাবিকে গুরুত্ব দিত, তাহলে এই দিন দেখতে হতো না।”
এই ঘটনায় বুলঢানা জেলায় কৃষকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। হাজার হাজার কৃষক রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জেলাশাসক ঘটনাস্থলে পৌঁছে আশ্বাস দেন। কিন্তু কৃষকদের দাবি, শুধু আশ্বাস নয়, বাস্তব পদক্ষেপ চাই।
কৈলাসের মৃত্যু নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্কও শুরু হয়েছে। কংগ্রেস অভিযোগ করেছে, “এই মৃত্যুর জন্য বিজেপি সরকারই দায়ী।” অন্যদিকে, সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনও স্পষ্ট প্রতিক্রিয়া মেলেনি। কৃষক সমাজের দাবি, সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই নিজের জীবন উৎসর্গ করলেন কৈলাস, এবার প্রশাসন কী পদক্ষেপ নেয় সেটাই দেখার।