চিত্র: সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: টানা ভারী বৃষ্টি ঝাড়খণ্ডে। এর জেরে হঠাৎ সুবর্ণরেখা নদীর জলস্তর বিপদসীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। তাতেই ওড়িশার বালেশ্বর জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। শনিবার নদীর জল ঢুকে পড়েছে একাধিক গ্রামে। প্রশাসনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ৫০,০০০-এর বেশি মানুষ এই প্লাবনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।জেলেশ্বর ব্লকের রাজঘাটে সুবর্ণরেখার জলস্তর এখনও ১১.৯ মিটার, যেখানে বিপদসীমা ১০.৩৬ মিটার।বালেশ্বর জেলার ভোগরাই, বালিয়াপাল, বস্তা ব্লক ও জেলেশ্বর অন্তর্গত মোট ১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নদীর জল ঢুকে পড়েছে খালাবাড়িয়া, কুলহা, বাউনসখানা (ভোগরাই ব্লক) এবং কুদামানসিংহ, চৌধুরীকুদ, বালিয়াপাল (বালিয়াপাল ব্লক) গ্রামের ভিতরে। জলের উচ্চতা কোথাও কোথাও ৪ ফুট পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। রাস্তা ডুবে যাওয়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে অন্তত ৫টি গ্রাম (Odisha Flood)।
আরও পড়ুন: Baruipur: অবশেষে খুলছে বারুইপুরের সূর্যপুর সেতু- যোগাযোগে নতুন দিগন্তের সূচনা!
বন্যার জলে বিস্তীর্ণ ধান ও শাকসবজির ক্ষেত ডুবে গেছে। কৃষকরা বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়েছেন। বহু মানুষের ঘরে জল ঢুকে পড়ায় তাঁরা নিজেদের মালপত্র ও গবাদি পশু নৌকা করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছেন। বালেশ্বর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে—সকল সরকারি কর্মীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সচিব, বিডিও, তহশিলদার ও স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীদের প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।রিলিফ টিম মোতায়েন করা হয়েছে ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ শুরু হয়েছে। চিকিৎসার জন্য জরুরি ওষুধের মজুত ও স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রস্তুত রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।বিশেষ করে বালিয়াপাল ব্লকের চৌধুরীকুদ গ্রামের নদী বাঁধ দুর্বল হয়ে পড়ায় জরুরি ভিত্তিতে মেরামতির কাজ চলছে।ঝাড়খণ্ডের ঘাটশিলা, জামশেদপুর, ফেকাঘাট, জামশোলাঘাট অঞ্চলে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে গলুডিহি ব্যারাজের ৮টি গেট খুলে প্রায় ২.৭০ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। এই অতিরিক্ত জলই সুবর্ণরেখা দিয়ে বয়ে এসে ওড়িশার নিচু অঞ্চলগুলিকে প্লাবিত করেছে (Odisha Flood)।
Bangla Jago fb page: https://www.facebook.com/share/193NB43TzC/
বালেশ্বরের পাশাপাশি, ময়ূরভঞ্জ জেলার সারাশকানা ব্লকের নেডা অঞ্চলেও বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রশাসন নিচু এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে বলেছে।বালেশ্বর জেলার জেলাশাসক সুর্যবংশী ময়ূর বিকাশ ব্লক অফিসার ও তহশিলদারদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন এবং প্রয়োজন পড়লে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন। পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে থাকলেও, সতর্ক অবস্থায় রয়েছে গোটা প্রশাসন। পানীয় জল ও খাদ্যের সমস্যা সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ অভিযোগ করেছেন, এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ কোনও সাহায্য পৌঁছায়নি (Odisha Flood)।