Bangla Jago Desk: আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট বিধানসভার উপনির্বাচনের প্রচারে ফিরে আসছে দলগাঁও চা বাগানের গণহত্যার ঘটনা। শ্রমিক বিক্ষোভ থেকে ২০০৩ সালে গণহত্যার ঘটনা ঘটে। আঙুল ওঠে তৎকালীন সিটু নেতা তারকেশ্বর লোহারের বিরুদ্ধে। এই উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী তাঁর পুত্র। স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। আগামী ১৩ নভেম্বর রাজ্যের ৬ টি বিধানসভার উপনির্বাচন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট বিধানসভা কেন্দ্র।
পরপর দুবার এই কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হন বিজেপির মনোজ টিগ্গা। লোকসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। সে কারণে বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়েছেন। উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী করেছে রাহুল লোহারকে। রাহুল লোহারের বাবা তারকেশ্বর লোহার এক সময় ওই এলাকার দাপটে সিপিএম নেতা হিসাবে পরিচিত ছিলেন। উপনির্বাচনে ২০০৩ সালের একটি ঘটনা প্রচারের শিরোনামে উঠে এসেছে। গণহত্যার অভিযোগ। বিজেপি প্রার্থীর বাবা ওই ঘটনায় জড়িত ছিলেন বলে ওই এলাকার সাধারণ মানুষের একাংশের অভিযোগ।
সেই গণহত্যার জবাবদিহি করতে হচ্ছে উপনির্বাচনে প্রার্থী হওয়া তারকেশ্বর লোহারের পুত্র রাহুল লোহারকে। ২০০৩ সালে দলগাঁও চা বাগানে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনা আবার সামনে উঠে এসেছে। স্বজনহারাদের বেদনা উস্কে দিয়েছে এই ভোট। ফলে টানা দুবার বিজেপির ক্ষমতায় থাকা এই মাদারিহাট উপ নির্বাচনের প্রচারে অস্বস্তি বিজেপি শিবিরে। ২০০৩ সালের ৬ নভেম্বর বাম আমলে দলগাঁও চা বাগানে কর্মী নিয়োগের ঘটনার জেরে তুলকালাম হয়।
তৎকালীন সিটু নেতা তারকেশ্বর লোহারের বাড়ি ঘেরাও করেন শ্রমিকরা। অভিযোগ, এরপর তার বাড়ির ভেতর থেকে ছোড়া গুলিতে মৃত্যু হয় দুই শ্রমিকের। ক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা আগুন লাগিয়ে দেন তার বাড়িতে। অভিযোগ, পিছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে ঘর বন্ধ করে পালিয়ে যান তিনি। তারকেশ্বর প্রাণে বাঁচলেও জীবন্ত দগ্ধ হন ১৯ জন। সেই ঘটনার পর কেটে গিয়েছে প্রায় দু দশক। ২০১৭ সালে মৃত্যু হয়েছে তারকেশ্বর লোহারের। তবে সেই ঘটনার আঁচ এখনও রয়েছে এলাকায়। সাধারণ মানুষের কথায়, এর প্রভাব স্বাভাবিক ভাবেই পড়বে এবারের উপনির্বাচনে।