Bangla Jago Desk: কোভিড পরবর্তীকালে বাড়ছে আকস্মিক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা। এই অবস্থায় স্কুলে সিপিআর (CPR) প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলকের নির্দেশিকা দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়েছিল। মঙ্গলবার এই আবেদন খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত। বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, এটা শিক্ষা নীতির বিষয়। কোনও স্কুল কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন প্রশিক্ষণ সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করতেই পারে। তবে তা বাধ্যতামূলকের নির্দেশিকা জারি করতে পারে না আদালত। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার অথবা স্কুল কর্তৃপক্ষ।
শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওওয়াই চন্দ্রচূড় মন্তব্য করেন, “এমন বহু বিষয় রয়েছে, যা পড়ুয়াদের শেখা উচিত। তাই বলে আদালত সেই সব কিছু পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দিতে পারে না।” প্রধান বিচারপতি ছাড়াও বর্তমান মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রার বেঞ্চে। তিন বিচারপতির বেঞ্চের বক্তব্য, “ওদের (শিশুদের) পরিবেশ সম্পর্কে শেখা উচিত। সৌভ্রাতৃত্ব সম্পর্কে শেখা উচিত। কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন সম্পর্কেও শিখতে হবে শিশুদের।”
প্রসঙ্গত, এই মামলাটি করেছিলেন রাঁচি নিবাসী এক ব্যক্তি। তাঁর আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, কোভিডের পড়ে আকস্মিক হৃদরোগ বেড়েছে। আজকের দিনের জলজ্যান্ত সমস্যা। বিচারপতিদের বক্তব্য, “এমন একাধিক সমস্যা রয়েছে সমাজে। তাই বলে আপনি স্কুলের সিলেবাস নিয়ে কথা বলতে পারেন না।” এর পরেই বিচারপতিদের বেঞ্চের তরফে বলা হয়, “শিশুদের ধূমপান করা উচিত নয়, এটি সর্বজন গ্রাহ্য বিষয়। তাই বলে কি এই বিষয়টি পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সুপ্রিম কোর্ট সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগ করবে। এটা শিক্ষা নীতির বিষয়। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে একমাত্র সরকার।”
কৃত্রিম শ্বাস দেওয়ার পদ্ধতিকে বলা হয় সিপিআর। সিপিআর এর পুরো অর্থ কার্ডিও পালমোনারি রিসাসিটেশন। এটি FIRST-AID এর অঙ্গ। সিপিআরকে BLS নামেও জেনে থাকি যার পুরো অর্থ বেসিক লাইফ সাপোর্ট। এটি একটি লাইফ সেভিং প্রসিডিউর। এটি শরীরের রক্ত সঞ্চালন ও শ্বাসপ্রশ্বাস পুনরুদ্ধারের পদ্ধতি।
Free Access