ছবিঃ সংগৃহীত
Bangla Jago Desk : জগন্নাথের রথযাত্রা উপলক্ষে সেজে উঠেছে পুরী। ৭ ও ৮ জুলাই, ২’দিন ধরে রথযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে পুরীর জগন্নাথ ধামে। ৫৩বছর পর এই দুদিনের রথযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। ১৯৭১সালে ২দিন ধরে এই রকম রথযাত্রার মহাআড়ম্বর হয়। দূর দূরান্ত থেকে লাখ লাখ ভক্ত জড়ো হয়েছেন রথের রশিতে টান দিতে। এই পবিত্র অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু উপস্থিত থাকার কথা জানানোয় বাড়ানো হয় নিরাপত্তা। রাজ্য সরকার রাষ্ট্রপতির জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করেছে। রথযাত্রা উৎসব সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে উড়িষ্যার সরকার।
মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি রথ উপলক্ষে ৭ ও ৮ জুলাই ছুটি ঘোষণা করেছেন। রবিবারই পালিত হবে সব নিয়ম। এই বছর একইদিনে পড়েছে নবযৌবন বেশ, নেত্র উৎসব ও রথযাত্রা। ৭ জুলাই পালিত হবে নবযৌবন দর্শন ও নেত্র উৎসব। ভক্তদের বিশ্বাস, স্নানযাত্রার পরে জ্বর আসে জগন্নাথ দেব, ভগবান বলরাম এবং দেবী সুভদ্রার। স্নানযাত্রার পর ১৫ দিন ধরে অন্তরালে থাকেন জগন্নাথ দেব, ভগবান বলরাম এবং দেবী সুভদ্রা। তারপরেই হয় এই নবযৌবন উৎসব। এই বিশাল আয়োজন নিয়ে পুরীর প্রশাসক সিদ্ধার্থশঙ্কর সোয়েইন জানিয়েছেন, রথযাত্রার সব প্রস্তুতি ঠিকমতোই চলছে।
[ আরও পড়ুন : মাহেশের ঐতিহাসিক ৬২৮ বছরের রথযাত্রা উদযাপন ]
পুরীর পুলিশ সুপার পিনাক মিশ্র জানিয়েছেন, কেন্দ্র ও রাজ্যের মোট ১৮০ প্ল্যাটুন নিরাপত্তা রক্ষী নজরদারির কাজে রয়েছেন। যদি কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বিশেষ গ্রিন করিডর ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির জন্য তৈরি হয়েছে স্পেশাল বাফার জ়োন। এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের জন্য রয়েছেন ভিআইপি জ়োন। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সিংহদুয়ারের সামনে রাখা হয় রথ। সেখান থেকে গুন্ডিচা মন্দিরে জগন্নাথ যাত্রা শুরু করবে। সেখানে ১ সপ্তাহ থাকবে জগন্নাথ দেব, ভগবান বলরাম এবং দেবী সুভদ্রার রথ। রবিবার বিকেলে রথের রশিতে টান পড়বে।তাই ভক্তরা মুখিয়ে থাকেন প্রভুর আর্শীবাদ পাওয়ার জন্য।ফলে বিরল এই যোগে ভক্তদের রেকর্ড ভিড় কার্যতঃ আলাদা মাত্রা বহন করছে।