Bangla Jago Desk: জাতীয় বাজেটের ভাষণে চক্রব্যূহ ভাঙ্গার কথা বলায় প্রতিশোধ নিতে চাইছে কেন্দ্র অভিযোগ করলেন বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুক্রবার রাহুল লেখেন, প্রতিশোধ নিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে নতুন ছক কষছে কেন্দ্র, বলে খবর পেয়েছেন রাহুল। তার বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর দিয়ে হেনস্তার পরিকল্পনা নিচ্ছে মোদি সরকার। ইডির উদ্দেশ্যে রাহুল বলেন, চা-বিস্কুট সহযোগে দুহাত বাড়িয়ে তিনি স্বাগত জানাচ্ছেন।
হঠাৎ কেন ইডির এই তৎপরতা, সেই ব্যাখ্যাও রাহুল দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, বাজেট ভাষণে তিনি চক্রব্যূহ ভাঙার কথা বলেছিলেন। মনে হচ্ছে, সেটা তাঁদের পছন্দ হয়নি। ইডির এক সূত্র মারফত তার কাছে খবর মিলেছে, ইডি নতুন করে তল্লাশি চালানোর ছক কষছে। সংসদে দাঁড়িয়ে রাহুল বলেন বলেছিলেন, অভিমন্যুকে হত্যার জন্য ওই চক্রব্যূহ তৈরি করা হয়েছিল। সেই চক্রব্যূহ দেখতে অনেকটা পদ্মফুলের মতো, যা প্রধানমন্ত্রী জামার বুকে সেঁটে রাখেন। সেই কারণে চক্রব্যূহকে পদ্মব্যূহও বলা হয়।রাহুলের ব্যাখ্যা ছিল, আদিবাসী, তফসিলভুক্ত জাতি–উপজাতি, দলিত, সংখ্যালঘু, সাধারণ দরিদ্র মানুষ আজকের অভিমন্যু। বিজেপির চক্রব্যূহে তাঁদের প্রাণ ওষ্ঠাগত। ভাবা হয়েছিল, বাজেটে তাঁদের প্রতি সুবিচার করা হবে। কিন্তু তা হয়নি। ফলে চক্রব্যূহে মারা যাচ্ছেন দেশের যুবসমাজ, কৃষক, শ্রমিক, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প মালিক, নারী ও সংখ্যালঘুরা।রাহুল বলেছিলেন, মহাভারতের যুদ্ধের সময় চক্রব্যূহ রচনা করেছিলেন দ্রোনাচার্য, কর্ণ, কৃপাচার্য, কৃতবর্মা, অশ্বত্থামা ও শকুনি। একালের চক্রব্যূহ তৈরি করে এবং দুই শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি ও গৌতম আদানি।
Apparently, 2 in 1 didn’t like my Chakravyuh speech. ED ‘insiders’ tell me a raid is being planned.
Waiting with open arms @dir_ed…..Chai and biscuits on me.
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) August 1, 2024
এই মন্তব্যের সঙ্গে সঙ্গেই স্পিকার ওম বিড়লা আপত্তি জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, যাঁরা সভার সদস্য নন তাঁদের নাম নেওয়া যাবে না। শুক্রবার কংগ্রেসের পক্ষ থেকে লোকসভায় ইডি, সিবিআইয়ের মতো সরকারি সংস্থার ‘অপব্যবহার’ নিয়ে আলোচনার জন্য মুলতুবি প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়। নোটিশে বলা হয়, লোকসভা ভোটের রায় সত্ত্বেও সরকার এসব সংস্থার মাধ্যমে বিরোধীদের আতঙ্কগ্রস্ত করে রাখার রাস্তা থেকে সরেনি।ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় অর্থ পাচারের অভিযোগে এর আগে রাহুল গান্ধী কে পঞ্চাশ ঘন্টা জিজ্ঞাসবাদ করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।