ad
ad

Breaking News

Uttar Pradesh

জাল নথি দিয়ে শিক্ষিকার চাকরি! বরখাস্ত পাক মহিলা

জাল নথির সাহায্যে বেরেলিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের চাকরি পাওয়া পাকিস্তানি মহিলা শুমায়লা খানকে বরখাস্ত করার পাশাপাশি ফতেহগঞ্জ পশ্চিম থানায় একটি রিপোর্ট দায়ের করা হয়েছে।

Pakistani woman fired for teaching job with fake documents

চিত্র: সংগৃহীত

Bangla Jago Desk: জাল নথির সাহায্যে বেরেলিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের চাকরি পাওয়া পাকিস্তানি মহিলা শুমায়লা খানকে বরখাস্ত করার পাশাপাশি ফতেহগঞ্জ পশ্চিম থানায় একটি রিপোর্ট দায়ের করা হয়েছে। ভুয়া আবাসিক শংসাপত্র দাখিল করে তিনি নাগরিকত্ব লুকিয়েছেন এবং সহকারী শিক্ষকের চাকরিও পেয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তদন্তের সময় শংসাপত্রটি জাল পাওয়া গেলে ৩ অক্টোবর, ২০২৪-এ তাঁকে বরখাস্ত করা হয়। তিনি ২০১৫ সাল থেকে মাধপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা হিসাবে কর্মরত ছিলেন। শিগগিরই তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

[আরও পড়ুন: পথদুর্ঘটনা কমাতে গতি নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ, নতুন পরিকল্পনা রাজ্য সরকারের]

ফতেহগঞ্জ পশ্চিম ব্লকের ব্লক শিক্ষা আধিকারিক (বিইও) ভানু শঙ্কর গাঙ্গওয়ার একটি রিপোর্ট দায়ের করেছেন রামপুরের বাজোরি টোলার ২০ নম্বর রাস্তার বাসিন্দা শুমায়লা খানের বিরুদ্ধে। তিনি জানান, তাঁর নাগরিকত্ব নিয়ে অভিযোগ এসেছে। অভিযোগ ছিল, তিনি পাকিস্তানি নাগরিক। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দফতর তাঁর সার্টিফিকেট যাচাই করেছে।

তহসিলদার সদর রামপুরের তদন্তে জানা যায় শুমায়লার আবাসিক শংসাপত্র জাল। আসলে তিনি পাকিস্তানের নাগরিক। এরপর গত বছর তাঁর সনদ বাতিল করা হয়। প্রাথমিক শিক্ষা দফতর একাধিকবার ব্যাখ্যা চাইলেও সার্টিফিকেটের সত্যতা প্রমাণ করতে পারেননি তিনি। এ নিয়ে বিএসএ সঞ্জয় সিং শুমায়লাকে সাসপেন্ড করেছিলেন।

মোরাদাবাদ এলআইইউ থেকে ২০২১ সালে শুমায়লার নথির তদন্ত তৎকালীন নোটিশে শুমায়লা উত্তর দিয়েছিলেন, মা মাহিরা বেগম ১৯৮১ সালে পাকিস্তান থেকে ভারতে এসেছিলেন। তখন তাঁর বয়স দুই বছর। ১৯৮৫ সালে রামপুরে মায়ের দ্বিতীয় বিয়ে হয়। ১৯৯২ সালে মা রামপুরের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষিকা হন। ২০০৭ সালে রামপুরের পিডব্লিউডি কলোনিতে একটি বাড়ি বরাদ্দ করা হয়েছিল তাঁদের জন্য। তিনি রামপুরে শিক্ষা লাভ করেন। মীরগঞ্জের রাজেন্দ্র প্রসাদ ডিগ্রি কলেজ থেকে বিএড করেছেন। তবে তদন্তে রেসিডেন্স সার্টিফিকেট জাল ধরা পড়ে। ২০১৫ সালে চাকরি পান শুমায়লা। এরপর থেকে তিনি মাধপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা হিসাবে কর্মরত ছিলেন।

[আরও পড়ুন: আর একটু থাকলেই মৃত্যু অবধারিত ছিল, হত্যার ষড়যন্ত্র ফাঁস শেখ হাসিনার]

এদিকে জানা গিয়েছে, চাকরি থেকে বরখাস্ত করার পাশাপাশি বিএসএ সঞ্জয় সিং বেতন ও ভাতা পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়াও শুরু করেছেন। এ জন্য বিভাগীয় অর্থ ও হিসাব কর্মকর্তাকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এসপি উত্তর মুকেশ চন্দ্র মিশ্র জানিয়েছেন, ফতেহগঞ্জ পশ্চিমের ব্লক শিক্ষা আধিকারিক শুমায়লা খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।