Bangla Jago Desk : ভারতে ট্রাভেল ও টুরিজম সেক্টরে আশার আলো। কোভিড আবহে এই সেক্টরে যে ধ্বস নেমেছিল তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে। আগামী ২০৩৩ সালের মধ্যে গোটা দেশে এই সেক্টরে ৫ কোটি ৮২ লক্ষ্য বেকারের কর্মসংস্থানের সুযোগ আসছে। অর্থাৎ প্রায় ৬ কোটি। বিভিন্ন গ্লোবাল সংস্থা দক্ষ বেকারদের এই সেক্টরে নিয়োগ করে আসছে বছরের পর বছর। এরকমই একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা এন এল বি সার্ভিসেস। এই সংস্থার সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে আগামী কয়েক বছরে ভারতে ট্রাভেলো ট্যুরিজম সেক্টর এর ব্যাপক সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। দেশের মোট বেকারের একটা বড় অংশ এই সেক্টরে কাজের সুযোগ পেতে চলেছে। ওই সংস্থার তথ্য বলছে, কভি ডে সময় যে মন্দা দেখা দিয়েছিল ট্যুরিজম সেক্টরে তা সম্পূর্ণ কেটে গিয়েছে। এই সেক্টরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের চাহিদা তৈরি হয়েছে।
এক্সিকিউটিভ অফ গ্লোবাল টেকনোলজি এন্ড ডিজিটাল ট্যালেন্ট সলিউশন প্রোভাইডার এন এল বি সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন অংশে এই নিয়ে কাজ করে আসছে। আর সেই কাজের সূত্র ধরেই দেখা যাচ্ছে হাজার হাজার কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। ২০২২-২৩ সালের পরিসংখ্যান বলছে, যেভাবে দেশে ভ্রমণ এবং পর্যটনে নতুন রাস্তা খুলেছে তাতে করে প্রচুর শিল্পদ্যোগী এগিয়ে এসেছে এই সেক্টরে। নতুন নতুন দেশীয় পর্যটন ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। হোটেল ব্যবসা থেকে শুরু করে আরো নানান ধরনের পর্যটন ব্যবসার বিকাশ ঘটেছে। ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্য পর্যটকদের নজর কেড়েছে। এই রাজ্যগুলির মধ্যে রয়েছে তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশের মত একাধিক রাজ্য। দেশের পর্যটনের ক্ষেত্রে ব্যবসা ও আনুষঙ্গিক বিষয়ে কর্মসংস্থানের বিকাশ ঘটেছে যে শহরগুলিতে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য দিল্লি, মুম্বাই, বেঙ্গালুরু, পুনে, কোচি অন্যতম।
এছাড়া এই শাড়িতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জয়পুর, আহমেদাবাদ, চন্ডিগড় এর মতো একাধিক শহর। নতুন দশকে বেড়াতে যাওয়ার ক্ষেত্রে বা বিবাহ পর্যটন আন্তর্জাতিক পর্যটন অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস প্রভৃতি ক্ষেত্রে নজর কাড়বে দেশের বিভিন্ন অংশ। সেই সঙ্গে ইকো ট্যুরিজম, সাংস্কৃতিক পর্যটন ও গ্রামীণ পর্যটনের মত ক্ষেত্রগুলিতেও প্রচুর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ওই সংস্থার পরিসংখ্যান বলছে ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ভারতে ভ্রমণ এবং পর্যটনের ক্ষেত্রে ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি ঘটেছে। পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে পর্যটকদের যত আকর্ষণ বাড়ছে ততই বিভিন্ন শিল্পদ্যোগী এগিয়ে এসেছে পর্যটন ক্ষেত্রের বিকাশে। আর সেই সঙ্গে তৈরি হয়েছে কর্মসংস্থানের সুযোগ। ২০৩৩ সালে গোটা বিশ্বকে চমকে দিতে চলেছে ভারত এই সেক্টরে।