চিত্র : নিজস্ব গ্রাফিক্স
Bangla Jago Desk: “ভারত-পাক সংঘর্ষ বিরতিতে কোন হাত নেই আমেরিকার” বুধবার টেলিফোনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনটাই জানানো হলো বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরির তরফ থেকে। এখানেই শেষ নয়, তিনি এটাও জানান যে প্রধানমন্ত্রী ট্রাম্পকে এটাও পরিষ্কার করে দিয়েছেন যে ভারত কখনই পাকিস্তানের ক্ষেত্রে মধ্যস্থতা মেনে নেয়নি এবং ভবিষ্যতেও মানবে না (India-Pakistan)।
গত ২২শে এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে ভারতীয় পর্যটকদের উপর হামলা চালিয়ে হত্যা করে পাক সন্ত্রাসবাদীরা। এরপরই অ্যাকশন মোডে নামে ভারত সরকার। দেশের সেনাদের তরফ থেকে চালানো হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। একাধিক পাক বায়ু সেনাঘাঁটি ধ্বংস করা হয়। পাশাপাশি, প্রাণ হারান বেশ কয়েকজন জঙ্গি ও পাক সেনা। বাতিল করা হয় সিন্ধু জলচুক্তিও। এরপরে শত্রুদেশের কাতোর অনুরোধে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ভারত (India-Pakistan)।
আরও পড়ুন: Sagardwip youth: ইউপিএসসি পাস করে সেনাবাহিনীতে লেফটেন্যান্ট শুভেন্দু
তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন যে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতি লেগেছে তাঁর হস্তক্ষেপেই। এবার এই ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান জানালো ভারত। প্রথমে ঠিক করা হয়েছিল যে জি৭ বৈঠক চলাকালীন ভারত ও আমেরিকা দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মাঝপথেই দেশে ফিরতে হয় ট্রাম্পকে। বুধবার দুই রাষ্ট্র নেতার মধ্যে টেলিফোনে কথা হয় এবং সেখানেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নাকি রিপাবলিকান নেতাকে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে তাদের হস্তক্ষেপে যুদ্ধবিরতি লাগেনি। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই জানালেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি (India-Pakistan)।
Bangla Jago fb page: https://www.facebook.com/share/193NB43TzC/
বিদেশ সচিব বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরিষ্কার করে দিয়েছেন যে পাকিস্তানের ব্যাপারে ভারত না আগে কোনদিন মধ্যস্থতা মেনে নিয়েছে আর না ভবিষ্যতে মানবে। অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ওনাকে এটাও জানিয়ে দিয়েছেন যে ভারত কখনো মধ্যস্থতা গ্রহণ করেনি এবং ভবিষ্যতেও করবে না কাশ্মীরে পাকিস্তানের অবৈধ অনুপ্রবেশের ব্যাপারে। উনি জানিয়ে দিয়েছেন যে সংঘর্ষ বিরতি পাকিস্তানের অনুরোধেই হয়েছে। ট্রাম্প প্রধানমন্ত্রীকে আমেরিকায় আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন কানাডা থেকে ফেরার পথে। কিন্তু উনি জানিয়ে দিয়েছেন যে এই মুহূর্তে তা সম্ভব নয়। দুজনেই ভবিষ্যতে বৈঠকে বসার জন্য রাজি হয়েছেন।” এবার দেখার বিষয় যে মার্কিন প্রেসিডেন্টের পাল্টা চাল কি। উনি কি করেন, সেটাই দেখার (India-Pakistan)।