চিত্র: প্রতীকী
Bangla Jago Desk: ভয়ংকর সন্ত্রাসী হামলার পর প্যালেস্টাইন থেকে কার্যত উৎখাত হয়েছে হামাস। কিন্তু এবার এই জঙ্গি সংগঠনকে হাতিয়ার করেই ভারতের বিরুদ্ধে নতুন ষড়যন্ত্রের ছক কষছে পাকিস্তান! গোয়েন্দা সূত্রের খবর অনুযায়ী, অধিকৃত কাশ্মীরে লস্কর-ই-তইবা ও জইশ-ই-মহম্মদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে প্যালেস্টাইনের এই কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী সংগঠন।
প্রতি বছর ৫ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে (পিওকে) ‘একতা দিবস’ পালন করে পাকিস্তান সরকার। এই দিনটিতে ভারত-বিরোধী প্রচারের জন্য বড়সড় কর্মসূচি নেওয়া হয়, যেখানে উপস্থিত থাকে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষ নেতারা। এবার এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ডাকা হয়েছে হামাস কমান্ডার ও মুখপাত্র খালিদ কদৌমিকে। একই মঞ্চে হাজির থাকবে লস্কর-ই-তইবা ও জইশ-ই-মহম্মদের শীর্ষ জঙ্গিরাও।
ভারতের জন্য নতুন বিপদ
ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর আশঙ্কা, কাশ্মীর উপত্যকাকে অশান্ত করতে এই তিন জঙ্গি সংগঠন একজোট হয়েছে, যা বড় ধরনের বিপদের ইঙ্গিত দিচ্ছে। শুধু সন্ত্রাসবাদী হামলা নয়, এর পিছনে রয়েছে আরও গভীর ষড়যন্ত্র। পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরেই কাশ্মীর ইস্যুকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরতে চাইছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত সফল হয়নি। এবার হামাস কমান্ডারকে অধিকৃত কাশ্মীরে এনে পাকিস্তান বোঝানোর চেষ্টা করছে যে, প্যালেস্টাইন ও কাশ্মীরের সমস্যা একই রকম।
বিশ্বমঞ্চে পাকিস্তানের ব্যর্থতা
পাকিস্তানের চেষ্টার পরও সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), কাতার ও কুয়েতের মতো দেশগুলি কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের পাশেই থেকেছে। রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চেও পাকিস্তান একঘরে হয়ে পড়েছে। তবে তুরস্ক ও মালয়েশিয়া এখনো পাকিস্তানের পাশে রয়েছে।
‘আল আকসা ফ্লাড’ পরিকল্পনার নেপথ্যে কী?
গোয়েন্দা সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, পিওকে-তে যে কর্মসূচি আয়োজিত হতে চলেছে, সেটির নাম রাখা হয়েছে ‘আল আকসা ফ্লাড’। এই একই নামে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছিল, যেখানে ৭০০ নিরীহ মানুষের প্রাণ গিয়েছিল।
‘আল আকসা’ হলো জেরুজালেমের একটি মসজিদ, যা মুসলিম ও ইহুদিদের মধ্যে বহুদিনের বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু। গোয়েন্দারা মনে করছেন, এই নাম ব্যবহার করে পাকিস্তান ও পিওকে-তে সক্রিয় জঙ্গি সংগঠনগুলি মুসলিমদের ভাবাবেগ উস্কে দিতে চাইছে, যার পরিণতি হতে পারে ভারতের বিরুদ্ধে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা।
পাকিস্তানের ষড়যন্ত্র রুখতে প্রস্তুত ভারত
ভারত ইতিমধ্যেই এই ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সতর্ক রয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলি নজরদারি বাড়িয়েছে, যাতে উপত্যকায় কোনো নাশকতা সংগঠিত না হয়। ভারতীয় সেনাও পুরো পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, হামাসের মতো সংগঠনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পাকিস্তান শুধু ভারত নয়, গোটা দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি তৈরি করছে। এখন দেখার, আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানের এই নতুন চক্রান্ত কতটা প্রতিরোধ করা যায়।