ad
ad

Breaking News

Maoist Violence

ছত্তিশগড়ে মাও হামলায় নিহত বিজেপি নেতা

সেখানে লেখা ছিল, একাধিকবার সতর্ক করা সত্ত্বেও সত্যম পুনেম পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন এবং তথ্য আদানপ্রদান চালিয়ে যাচ্ছিলেন।

maoist-violence-bjp-worker-killed-bijapur-chhattisgarh

ছবিঃ সংগৃহীত

Bangla Jago Desk: ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় ফের মাওবাদী হামলা। সোমবার রাতে মুজালকানকার এলাকার ইলমিডি থানা অন্তর্গত অঞ্চলে মাওবাদীদের হাতে খুন হলেন বিজেপি কর্মী সত্যম পুনেম। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মাওবাদীরা সন্দেহ করছিল যে তিনি পুলিশের খবরদাতা অর্থ্যাৎ পুলিশের চর হিসেবে কাজ করতেন। মৃত ওই বিজেপি কর্মীর নাম সত্যম পুনেম। তাঁকে হত্যার পর মৃতদেহের পাশে একটি লিফলেট রেখে যায় মাওবাদীরা।  

এই ঘটনার পরই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় একটি পুলিশ দল। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে একটি হাতে লেখা পামফ্লেট উদ্ধার হয়েছে। যা মাওবাদী মাদেদ এরিয়া কমিটির নামে প্রকাশিত। সেখানে লেখা ছিল, একাধিকবার সতর্ক করা সত্ত্বেও সত্যম পুনেম পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন এবং তথ্য আদানপ্রদান চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এর জেরেই তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ড নকশাল-সহিংসতার বাড়তে থাকা প্রবণতার অংশ বলেই মনে করছে প্রশাসন। শুধু এ বছরই ছত্তিশগড়ের বাস্তার ডিভিশনের সাতটি জেলায়—যার মধ্যে বিজাপুরও রয়েছে—নকশাল হামলায় প্রায় ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে।  

এই ঘটনা প্রথম নয়। এর আগে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ওই একই অঞ্চলে আলাদা আলাদা ঘটনায় নিহত হয়েছেন বিজেপির ১১ জন নেতা ও কর্মী। গত বছর মোহলা-মানপুর-অম্বাগড় চৌকি জেলার সারখেদা গ্রামে খুন হয়েছিলেন বিজেপির প্রাক্তন মণ্ডল সাধারণ সম্পাদক বীরঝু তারাম। রাত সাড়ে সাতটা নাগাদ স্থানীয় নির্বাচনী বৈঠক শেষে বাড়ি ফেরার সময় ৮ থেকে ১০ জন সশস্ত্র নকশাল তাঁর উপর হামলা চালায়। ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, খুনের পর হামলাকারীরা ‘লাল সালাম’ স্লোগান তুলে পালিয়ে যায়।পুলিশ সূত্রে খবর, মানপুর ও সংলগ্ন এলাকায় বিজেপির বহু নেতা এখনও নকশালদের হিটলিস্টে রয়েছেন। গত জুন মাসেও বিজাপুরেই সন্দেহভাজন নকশালদের হাতে খুন হন এক স্থানীয় বিজেপি নেতা। তার আগে ফেব্রুয়ারিতে বাস্তার বিভাগের তিন বিজেপি নেতাকে খুন করা হয়েছিল—একজন বিজাপুরে এবং দু’জন পার্শ্ববর্তী নারায়ণপুর জেলায়। একাধিক হত্যাকাণ্ড ও হামলার পরেও পুলিশ এবং প্রশাসন আক্রান্ত রাজনৈতিক কর্মীদের যথাযথ নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।