চিত্রঃ নিজস্ব গ্রাফিক্স
Bangla Jago Desk: বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে নির্বাচনের কমিশনের উপর চাপ বাড়াতে শুরু করেছে বিরোধীরা। এমনিতেই তাদের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস নামে এক সেচ্ছাসেবী সংগঠন, এবার এই ব্যাপারে আদালতের দ্বারস্থ হলেন বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তিনিও নাগরিকত্ব প্রমাণের নির্দেশিকার উপর স্থগিতাদেশ চেয়েছেন।(Mahua Maitra)
আর কিছুদিন পর বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই শাসক থেকে শুরু করে বিরোধী, সকল দলই ময়দানে নেমে প্রচার-পর্ব শুরু করে দিয়েছে। বলা বাহুল্য, বিহারের মসনদকে পাখির চোখ করে এখন থেকেই বুদ্ধিযুদ্ধে লেগে পড়েছে সকলে। এনডিএ হোক কি আরজেডি, সকলেই ঘুটি সাজানো কাজ শুরু করে দিয়েছে। এক কথায় বলতে গেলে, ভোটের আবহাওয়ায় নীতিশ কুমারের রাজ্য এই মুহূর্তে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে।(Mahua Maitra)
[আরও পড়ুনঃ Baruipur: অভাবের তাড়নায় বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা, বারুইপুর স্টেশানে উদ্ধার বৃদ্ধ দম্পতি]
এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয় যে যাঁদের নাম ছিল না ২০০৩ সালের ভোটার তালিকায়, তাঁদের প্রমাণ করতে হবে নাগরিকত্ব। এমন নথিপত্র দেখানোর কথা বলা হয়েছে যে যা দেখাতে গিয়ে তৈরি হয়েছে সমস্যা। বলা ভালো, নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন সেই রাজ্যের অনেকে। ইতিমধ্যেই বিরোধী দলগুলির তরফ থেকে আওয়াজ ওঠানো শুরু হয়ে গিয়েছে এই ব্যাপারে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন যে কেন্দ্র ঘুরপথে এনআরসি করানোর চেষ্টা করছে। আবার লালু প্রসাদ যাদবের দল আরজেডির বক্তব্য, তাদের ভোটারদের বাদ দেওয়ার চক্রান্ত করা হচ্ছে।
লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/Banglajagotvofficial
এরপরই এডিআর নামক এক সেচ্ছাসেবী সংগঠন শীর্ষ আদালতে মামলা করেছেন ইসির এই নির্দেশিকার উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে। তাদের বক্তব্য, এই নির্দেশিকার ফলে প্রায় তিন কোটি বৈধ ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারেন। এবার সেই একই কাজ করলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তিনিও সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছেন এই প্রসঙ্গে এবং স্থগিতাদেশ চেয়েছেন নির্বাচন কমিশনের এই নির্দেশিকার উপর। নিজের এক্স হ্যান্ডেল থেকে তিনি বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন।(Mahua Maitra)
কৃষ্ণনগর সাংসদ মামলার নথি শেয়ার করে লিখেছেন, “এইমাত্র রিট পিটিশন দাখিল করলাম সুপ্রিম কোর্টে। এমন পদক্ষেপ যাতে কোন রাজ্যে না করা হয়, তার জন্য স্থগিতাদেশ চেয়েছি। যারা ইতিমধ্যেই অনেকবার ভোট দিয়ে ফেলেছেন, তাঁদের আবারো নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে যোগ্যতা প্রমাণ করার। জন্মের শংসাপত্র দিতে বলা হচ্ছে তাঁদের বাবা-মায়ের। এমনটা যদি চলতে থাকে তাহলে তালিকা থেকে বহু বৈধ ভোটারের নাম বাদ পড়ে যাবে। সেই কারণেই এই মামলা করা হয়েছে।” এবার দেখার বিষয় যে সুপ্রিম কোর্ট শেষ পর্যন্ত কি রায় দেয়। নির্বাচন কমিশনের এই নির্দেশিকার উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয় কিনা, সেটাই এখন দেখার।