চিত্র: সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রী জুটিতে কী ভাঙন ধরতে চলেছে? মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফঢ়নবীসের সাথে কী বনিবনা হচ্ছে না মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের? গত বেশ কয়েকদিন ধরে এমনই নানা প্রশ্ন ভেসে বেড়াচ্ছে মারাঠা রাজনীতির অন্দরমহলে। তবে, এবার সেই সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডে স্বয়ং। তিনি জানালেন, তাঁর সাথে ফঢ়নবীসের সম্পর্ক অত্যন্ত শীতল। কোনও বিবাদ নেই তাঁদের মধ্যে।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালে মহারাষ্ট্র ভোটে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসে এই মহাজুটি (বিজেপি, শিন্ডের শিবসেনা এবং অজিত পাওয়ারের এনসিপি)। মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে শিন্ডেকে সরানো হয়। দায়িত্ব দেওয়া হয় ফঢ়নবীসকে। আর সেই থেকেই তাঁদের ‘দ্বন্দ্ব’ আলোচনায় আসে। সামনাসামনি কেউ কোনও মন্তব্য করতে না চাইলেও, অনেকেই জানেন যে মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়তে রাজি ছিলেন না শিন্ডে। নানারকম চাপে তিনি বাধ্য হন পদ ছাড়তে। তবে, যতদিন যাচ্ছে সেই অন্দরে কী ‘উত্তাপ’ বাড়ছে? এই নিয়ে এখন প্রশ্ন নানা মহলে।
সূত্রের খবর, শিন্ডে নিজের দফতরের পৃথক একটি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সেল গঠন করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর সেই সংক্রান্ত সেল থাকতেও কেন আলাদাভাবে সেল গঠন করা হল তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে। তবে কী সরকারে থেকেও সমান্তরাল কোনও ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চান শিন্ডে? ফডনবীস এই সম্ভাবনার কথা কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি জানান, শিন্ডের স্বাস্থ্য সেলে কোনও ভুল নেই। সকলেরই উদ্দেশ্য মানুষের সেবা করা।
এ নিয়ে শিন্ডের বক্তব্য, “অতীতেও উপমুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে পৃথক স্বাস্থ্য সেল গঠন করা হয়েছিল। গরীবদের সাহায্য করাই এর উদ্দেশ্য। সমান্তরাল ব্যবস্থা গড়ার প্রশ্নই ওঠে না”।
তবে, অন্তর্দ্বন্দ্বের সম্ভাবনা উড়িয়ে, উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনাকে নিশানা করেন শিন্ডে। তিনি আরও জানিয়েছেন, উদ্ধব মুখ্যমন্ত্রী না হলে শিবসেনায় কোনদিনও ভাঙন দেখা যেত না।