চিত্রঃ নিজস্ব গ্রাফিক্স
Bangla Jago Desk: সরকারি স্কুলের রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের নামে কোটি টাকার আর্থিক অনিয়ম ঘিরে তীব্র বিতর্কের মুখে পড়েছে মধ্যপ্রদেশের শাহডোল জেলা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস হওয়া একাধিক বিল ও রসিদ ঘিরে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। কাঠগড়ায় উঠেছে দুই সরকারি স্কুল – সাকান্দি হাই স্কুল ও নিপানিয়া হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের কর্তৃপক্ষ। সূত্রে জানা গেছে, সাকান্দি হাই স্কুলে রঙ ও সংস্কারের নামে ১ লক্ষ ৬ হাজার টাকা খরচ দেখানো হয়েছে। অথচ সরকারি নথি অনুযায়ী, ওই কাজে নিযুক্ত করা হয়েছিল ১৬৮ জন শ্রমিক ও ৬৫ জন রাজমিস্ত্রি, যেখানে ব্যবহার হয়েছে মাত্র ৪ লিটার অয়েল পেইন্ট হিসেবের। এই ভয়ঙ্কর গরমিল ঘিরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে স্বাভাবিকভাবেই।( Madhya Pradesh)
[আরও পড়ুনঃ Dilip-Samik: দিলীপের মন কি এখন তৃণমূলের দিকে? কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি]
একই ধরনের অনিয়ম ধরা পড়েছে নিপানিয়া হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলেও। প্রায় ২.৩১ লক্ষ টাকার রসিদ জমা দেওয়া হয়েছে, যেখানে দাবি করা হয়েছে ২৭৫ জন শ্রমিক ও ১৫০ জন মিস্ত্রি ২০ লিটার তেল রঙ দিয়ে রঙের কাজ করেছেন, পাশাপাশি লাগানো হয়েছে ১০টি জানলা ও ৪টি দরজা। কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন। বেওহারি এসডিএম নরেন্দ্র সিং ধুরভে সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে জানান, কাজের মান অত্যন্ত নিম্নমানের এবং অধিকাংশ কাজ এখনও শেষই হয়নি। তদন্তে নেমে আরও একটি অদ্ভুত অসঙ্গতি সামনে এসেছে। নিপানিয়া স্কুলের প্রধান শিক্ষক যেখানে ৪ এপ্রিল বিল অনুমোদন করেছেন, সেখানে নির্মাণকারী সংস্থা সুধাকর কনস্ট্রাকশন সেটি তৈরি করেছে ৫ মে। এক মাস আগে বিল অনুমোদনের এই তারিখ অসঙ্গতি জালিয়াতির ইঙ্গিত স্পষ্ট করছে।( Madhya Pradesh)
লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/Banglajagotvofficial
তবুও, বিলটি পাশ করে দিয়েছে কোষাগার দফতর। এই দুর্নীতির ঘটনা সামনে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন, এত বড় অস্বচ্ছতা কীভাবে প্রশাসনের চোখ এড়িয়ে গেল? এই ঘটনায় কোনও উচ্চপদস্থ কর্মচারী যুক্ত কি না, তাও খতিয়ে দেখার দাবি উঠেছে। জেলা শিক্ষা আধিকারিক ফুল সিং মারপাচি স্বীকার করেছেন, অভিযোগ গুরুতর এবং দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখন দেখার, তদন্তের পর আদৌ কী পদক্ষেপ নেয় প্রশাসন এবং দুর্নীতির জাল কতদূর বিস্তৃত তা কতটা উন্মোচিত হয়। এই পুরো ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত।( Madhya Pradesh)