ad
ad

Breaking News

Viral News

রান্নায় মশলার অভাব! স্বামীর কাছে তালাক চাইল স্ত্রী, তারপর যা হল..

ঘটনায় বেশ কয়েকটি কাউন্সেলিং সেশনের পর, স্বামী অবশেষে ১০ প্যাকেট মশলা কিনে আনেন। শুধু তাই নয়, ভবিষ্যতে আর কোনোদিন মুদির কোনো অভাব হবে না বলেও আশ্বস্ত করেন।

Lack of spices in cooking! Wife asked husband for divorce, then what happened..

নিজস্ব : গ্রাফিক্স চিত্র

Bangla Jago Desk : রান্নায় মসলার অভাব! এই অভিযোগে স্বামীর কাছে একেবারে তালাক চেয়ে বসলেন স্ত্রী। এরম আজগুবি ঘটনা ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের বিদিশায়। ঘটনাটি ‘গরম মসলা’কে কেন্দ্র করে।

[ আরও পড়ুন : Do Patti: শীঘ্রই আসছে কৃতী-কাজলের ‘দো পাত্তি’, জেনে নিন কবে মুক্তি পাচ্ছে? ]

মহিলা ও শিশু উন্নয়ন বিভাগের ওয়ান-স্টপ সেন্টারে গিয়ে ওই মহিলা অভিযোগ জানান। সেখানে গিয়ে তিনি জানান, ‘স্বামী গরম মসলা এবং হিং’ এর মত মসলা রান্নাঘরে সরবরাহ করতে অক্ষম। এরপর পরামর্শ দাতারা দম্পতির সাথে কথা বলেন। ঘটনার প্রায় একমাস পর বিষয়টি সমাধান করা হয়। কিন্তু এই ঘটনার সমাধান হলো কিভাবে? জানা যায়, স্বামী একদিন ১০ প্যাকেট গরম মশলা এবং হিং নিয়ে আসেন। তারপর স্ত্রী স্বামীর কাজেে গলে গিয়ে দুজনে একসাথে বাড়িতে ফিরে আসেন।

তথ্য অনুসারে জানা যায়, বিষয়টি নারী ও শিশু উন্নয়ন বিভাগের ওয়ান-স্টপ সেন্টার অবধি পৌঁছেছিল। ঘটনায় কাউন্সেলররা হস্তক্ষেপ করেছিলেন এবং সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টা করেছিলেন। এই ঘটনার কাউন্সেলিং প্রক্রিয়াটি এক মাস ধরে চলেছিল। কিন্তু ১০ প্যাকেট গরম মসলা এবং হিং নিয়ে আসায় স্ত্রী বাড়িতে ফিরতে রাজি হয়েছিলেন।

[ আরও পড়ুন : Power Project: রাজ্যে তৈরি হবে দুটি নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র, মিলল মন্ত্রিসভার অনুমোদন ]

সমস্যাটি কীভাবে সমাধান করা হয়েছিল

কাউন্সেলর রেখা রাঠোরের মতে, মহিলা একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি আর তার স্বামীর সাথে থাকতে চান না। কারণ তার স্বামী গরম মসলা এবং হিং এর মতো রান্নাঘরের মৌলিক প্রয়োজনীয়তা সরবরাহ করেননি। উত্তরে স্বামী ব্যাখ্যা করেছিলেন যে, তিনি একটি সরকারি চাকরি করেন। তিনি একটি যৌথ পরিবারে থাকতেন, যেখানে তিনিই ছিলেন একমাত্র উপার্জনকারী। আর্থিক দায়-দায়িত্বের কারণে তিনি মাঝে মাঝে সমস্ত মুদিখানার জিনিসপত্র কিনতে পারতেন না।

ঘটনায় বেশ কয়েকটি কাউন্সেলিং সেশনের পর, স্বামী অবশেষে ১০ প্যাকেট মশলা কিনে আনেন। শুধু তাই নয়, ভবিষ্যতে আর কোনোদিন মুদির কোনো অভাব হবে না বলেও আশ্বস্ত করেন। এরপর দীর্ঘ আকুতি-মিনতি করার পরে স্ত্রী তার সাথে থাকতে রাজি হন।

ওয়ান-স্টপ সেন্টার নিশ্চিত করে যে মিটমাট করা পরিবারগুলোকে তিন মাসের জন্য পর্যবেক্ষণ করা হয়। একটি ডেডিকেটেড রেজিস্টার তাদের যোগাযোগের বিশদ সহ রক্ষণাবেক্ষণ করেন। পরবর্তিকালে যদি তাদের মধ্যে কোন সমস্যা দেখা দেয় তাহলে পরামর্শদাতারা তাদের সাথে যোগাযোগ করে ফের সমস্যার সমাধান করেন।