চিত্রঃ সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: আনন্দের মুহূর্তে বদলে গেল বিষাদে। পিকনিক করতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি। কর্নাটকের তুমাকুরুর মার্কোনাহাল্লি বাঁধে জলের স্রোতে তলিয়ে গেলেন একই পরিবারের সাত জন সদস্য। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন নারী ও শিশুরাও। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৫ জনের একটি দল পিকনিকে গিয়েছিলেন বাঁধের ধারে। খাওয়াদাওয়া ও আড্ডার পর সবাই মিলে ছবি তুলছিলেন বাঁধের ধারে দাঁড়িয়ে। সেই সময় হঠাৎই বাঁধের সাইফন দিয়ে জল ছাড়ার ফলে তীব্র স্রোত তৈরি হয়। মুহূর্তের মধ্যে সাত জন ভেসে যান সেই স্রোতে। স্থানীয় বাসিন্দা ও উদ্ধারকারী দলের তৎপরতায় এক জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। তাঁর নাম নওয়াজ। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আদিচুঞ্চনগিরি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে এ পর্যন্ত দু’জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে — তাঁরা হলেন সাজিয়া ও আরবিন। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন চার জন — তাবাসসুম (৪৫), শাবানা (৪৪), মিফরা (৪) এবং মাহিব (১) (Karnataka Tragedy)।
আরও পড়ুনঃ আফগান সীমান্তে টিটিপি-র হামলা! নিহত ১১ পাক আধা সেনা
তুমাকুরু জেলার পুলিশ সুপার অশোক কে. ভি. জানিয়েছেন, মোট ১৫ জন পিকনিকে গিয়েছিলেন। সাত জন স্রোতের টানে ভেসে যান। ডুবুরি দল ও দমকলবাহিনী উদ্ধারকাজে নেমেছে। এখনও নিখোঁজদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, বাঁধ থেকে আচমকা জল ছাড়ার ফলে জলস্তর দ্রুত বৃদ্ধি পায়। ঠিক সেই সময়ই বাঁধের ধারে দাঁড়িয়ে ছিলেন ওই পর্যটকরা। তবে কেন পূর্বে সতর্কতা দেওয়া হয়নি, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে স্থানীয় মহলে। বাঁধ কর্তৃপক্ষের দাবি, অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে হঠাৎ জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে জল ছাড়তে শুরু করে সাইফন ব্যবস্থা। এ ঘটনায় গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। আনন্দে ভরা পিকনিক মুহূর্ত এক নিমিষে বদলে গেল বিষাদে (Karnataka Tragedy)।
Bangla Jago fb page: https://www.facebook.com/share/17CxRSHVAJ/