ad
ad

Breaking News

MUDA Scam

আরও চাপে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া, জমি দুর্নীতি মামলায় নোটিস দিল হাইকোর্ট

মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার এক বছরের মধ্যেই এই জমি দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তিনি সরকারি নথি পরিবর্তন করে তাঁর স্ত্রী পার্বতীকে মুডার একটি জমি প্রকল্পে সস্তায় মূল্যবান জমি পাইয়ে দিয়েছেন।

চিত্র - সংগৃহীত

Bangla Jago Desk: কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে জমি দুর্নীতি মামলায় নতুন করে চাপ তৈরি হয়েছে। মাইসুরু নগরোন্নয়ন বিভাগ (মুডা)-এর জমি সংক্রান্ত ৩ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির মামলায় মুখ্যমন্ত্রী, তাঁর স্ত্রী পার্বতী বিএম এবং আরও কয়েকজনকে নোটিস পাঠিয়েছে কর্নাটক হাই কোর্ট।

এই মামলায় সিবিআই তদন্তের দাবিতে একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে হাই কোর্ট এই নোটিস জারি করেছে বলে জানা গেছে। মামলাটি দায়ের করেছিলেন এক সমাজকর্মী স্নেহাময়ী কৃষ্ণা। আগে সিঙ্গেল বেঞ্চ তাঁর মামলা খারিজ করলেও তিনি ডিভিশন বেঞ্চে যান। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই বুধবার হাই কোর্ট এই সিদ্ধান্ত নেয়।

এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে কর্নাটকের লোকায়ুক্ত পুলিশের রিপোর্টের ভিত্তিতে সিদ্দারামাইয়া ও তাঁর স্ত্রীকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ইডি সেই রিপোর্টকে চ্যালেঞ্জ করে। আদালত জানায়, তদন্ত এখনও শেষ হয়নি, তাই চূড়ান্ত রায় দেওয়া যাবে না। সম্পূর্ণ তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়ার পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

স্নেহাময়ী কৃষ্ণার অভিযোগ, লোকায়ুক্ত পুলিশ রাজ্য সরকারের অধীনে, তাই তাদের তদন্ত নিরপেক্ষ নয়। তাই সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে তদন্ত তুলে দেওয়া উচিত। আদালত মুখ্যমন্ত্রী, তাঁর স্ত্রী, সিবিআই, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও লোকায়ুক্ত পুলিশকে আগামী ২৮ এপ্রিলের মধ্যে জবাব দিতে বলেছে।

প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার এক বছরের মধ্যেই এই জমি দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তিনি সরকারি নথি পরিবর্তন করে তাঁর স্ত্রী পার্বতীকে মুডার একটি জমি প্রকল্পে সস্তায় মূল্যবান জমি পাইয়ে দিয়েছেন। এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর শ্যালক মল্লিকার্জুনের নামও জড়ায়।

রাজ্যপাল থাওয়ারচাঁদ গেহলট মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেন এবং পরে লোকায়ুক্ত আদালতের নির্দেশে সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। লোকায়ুক্ত পুলিশের তদন্তের পর এবার সেই তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি উঠেছে। আগামী ২৮ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি।