চিত্রঃ সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: জনপ্রিয় কেশসজ্জাশিল্পী জাভেদ হাবিব এবং তাঁর পুত্রের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের গুরুতর অভিযোগ ওঠায় নড়েচড়ে বসেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। অভিযুক্তরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যেই জাভেদ হাবিব ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের সম্ভল জেলার পুলিশ জানিয়েছে, জাভেদ হাবিব, তাঁর পুত্র এবং আরও এক জন-সহ মোট তিন জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে অন্তত ২০টি মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযোগ, তাঁরা একজোট হয়ে বহু মানুষের সঙ্গে আর্থিক প্রতারণা করেছেন। সম্ভলের এসপি কেকে বিশ্নোই এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন। এসপি জানিয়েছেন, অভিযোগকারীরা জানাচ্ছেন, জাভেদ হাবিবরা সাধারণ মানুষকে বিটকয়েনের মাধ্যমে বিনিয়োগ করতে উৎসাহ দিতেন। তাঁরা দাবি করতেন, এই বিনিয়োগ থেকে বছরে বিপুল অঙ্কের অর্থ রিটার্ন আসবে (Javed Habib)।
আরও পড়ুনঃ দীর্ঘদিন পর আজমের সঙ্গে সাক্ষাৎ অখিলেশের, ক্ষোভ কী দূর হবে?
এসপি-র কথায়, “এক-এক জনের কাছ থেকে পাঁচ থেকে সাত লাখ টাকা করে নিয়েছেন হাবিবরা। কিন্তু আড়াই বছর কেটে যাওয়ার পরেও কেউ কোনও রিটার্ন পাননি। ভুক্তভোগীরা বুঝতে পারেন যে তাঁরা প্রতারিত হয়েছেন।” এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩৫ জনের কাছ থেকে এই সংক্রান্ত অভিযোগ পেয়েছে পুলিশ। সম্ভলের এসপি আরও কেউ হাবিব দ্বারা প্রতারিত হয়ে থাকলে, তাঁদের থানায় গিয়ে অভিযোগ জানানোর অনুরোধ করেছেন। পুলিশের তদন্তে জানা গিয়েছে, জাভেদ হাবিবের স্ত্রী ‘এফএলসি’ (FLC) নামে একটি সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা। দীর্ঘ দিন ধরেই এই সংস্থার সম্পত্তি এবং অনলাইন লেনদেন তদন্তকারীদের নজরে ছিল। অভিযোগ রয়েছে, এই এফএলসি সংস্থাতেই বিনিয়োগের জন্য সাধারণ মানুষকে উৎসাহ দেওয়া হত। অনেকেই সেই ফাঁদে পা দিয়ে তাঁদের কষ্টার্জিত অর্থ খুইয়েছেন (Javed Habib)।
Bangla Jago fb page: https://www.facebook.com/share/17CxRSHVAJ/
যদিও জাভেদ হাবিবের আইনজীবী এই সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। হাবিবের আইনজীবীর দাবি, কেশসজ্জাশিল্পীর বিরুদ্ধে কোনো এফআইআর দায়ের করা হয়নি। তিনি আরও বলেন, এফএলসি-র সঙ্গে হাবিবের কোনো সরাসরি যোগাযোগ নেই। ওই সংস্থা আয়োজিত একটি সেমিনারে তিনি কেবল যোগ দিতে গিয়েছিলেন। হাবিবের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগকেই ‘ভুয়ো’ বলে দাবি করেছেন তাঁর আইনজীবী (Javed Habib)।