Bangla Jago Desk: সম্বলে অবস্থিত জামে মসজিদ নিয়ে উত্তেজনা কিছুতেই কমছে না। মুঘল শাসক বাবরের আমলে নির্মিত জামে মসজিদ নিয়ে বিতর্ক চলছেই। একপক্ষের দাবি, আগে এখানে হরি হর মন্দির ছিল। বাবরের আমলে সেই স্থানে মসজিদটি নির্মিত হয়। এ বিষয়ে হিন্দু পক্ষের একজন আইনজীবী আদালতে জরিপের দাবি জানিয়ে স্থানীয় আদালতে আবেদন করেছিলেন।
পরে আদালত জরিপ আদেশ জারি করলে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। এখন এই বিষয়ে এএসআই পরিচালিত জরিপের ভিত্তিতে বিভিন্ন সংশোধনী ও হস্তক্ষেপের বিষয়ে একটি হলফনামা পেশ করা হয়েছে। সেই অনুসারে, ১৯২০ সালে জামে মসজিদকে একটি সংরক্ষিত স্মৃতিস্তম্ভ হিসাবে ঘোষণা করা হয়। সম্বলের জামে মসজিদে করা বিভিন্ন পরিবর্তন এবং হস্তক্ষেপের বিষয়ে একটি হলফনামা জমা দিয়েছে। এএসআই-এর মতে, জামে মসজিদকে ১৯২০ সালে একটি সংরক্ষিত স্মৃতিস্তম্ভ ঘোষণা করা হয়েছিল, কিন্তু তারপর থেকে স্মৃতিস্তম্ভে অনেক পরিবর্তন করা হয়েছে।
এএসআইকে এই মসজিদে নিয়মিত পরিদর্শন করতে নিষেধ করা হয়েছিল, এমনকি এএসআই কর্মকর্তাদেরও পরিদর্শনের উদ্দেশে মসজিদে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। তবে, এএসআই জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ১৯৯৮ সালে প্রথমবারের মতো এই স্মৃতিস্তম্ভটি পরিদর্শন করেছিলেন। পরবর্তীকালে, সবচেয়ে সাম্প্রতিক পরিদর্শন ২৫ জুন ২০২৪-এ পরিচালিত হয়েছিল। ভিএস রাওয়াত, সুপারিনটেনডিং আর্কিওলজিস্ট, এএসআই-এর দাখিল করা হলফনামায় আরও বলা হয়েছে যে, যখনই এখানে কোনও আধুনিক হস্তক্ষেপের কার্যকলাপ পরিলক্ষিত হয়েছে, তখনই স্থানীয় পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে এবং দায়ীদের কাছে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়েছে।
এএসআই কর্মকর্তারা আরও বলেছেন, প্রাচীন স্মৃতিস্তম্ভ এবং প্রত্নতাত্ত্বিক সাইট এবং অবশিষ্টাংশ আইন, ১৯৫৮-এর অধীনে স্মৃতিস্তম্ভের বর্তমান অবস্থা নিশ্চিত করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে, কারণ স্মৃতিস্তম্ভটিতে বিভিন্ন হস্তক্ষেপ, সংযোজন এবং পরিবর্তন করা হয়েছে। এএসআই পরিদর্শনের সময়, এটিও পাওয়া গিয়েছে যে, ২০২৪ সালের জুন মাসে কিছু হস্তক্ষেপের রেকর্ড ছিল। এই হলফনামায় এএসআই স্মৃতিসৌধ সংরক্ষণে অনিয়ম ও ঐতিহাসিক ঐতিহ্য রক্ষার বিষয়টি তুলে ধরেছেন।