চিত্র : সংগৃহীত
Bangla Jago Desk : প্রথমে, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাবে। মন্দির, দরগা, রাস্তা, জলাশয় বা রেলের জমি দখল হলে, সেই স্থাপনা আইন অনুযায়ী ভাঙা হবে। সুপ্রিম কোর্ট বুলডোজার মামলায় এই মন্তব্য করেছে। আদালত আরও বলেছে, ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। দখল বিরোধী বুলডোজার অভিযান সব নাগরিকের জন্য সমান হবে, তাদের ধর্ম বিচার করা হবে না।
[ আরও পড়ুন : বিধান মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানিদের আর্থিক সাহায্য দিলেন মেয়র ]
উত্তরপ্রদেশের যোগীরাজ্য থেকে শুরু হওয়া বুলডোজার অভিযান ধীরে ধীরে দেশের অন্যান্য বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে ছড়িয়ে পড়েছে। বিরোধীরা বারবার অভিযোগ করেছেন যে, বুলডোজার অভিযানের নামে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ চালানো হচ্ছে। বুলডোজার অভিযান বিরোধী মামলা বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চে উঠেছে। রাজ্য সরকারের আইনজীবীরা দাবি করেছেন যে, শুধুমাত্র অবৈধ নির্মাণের ক্ষেত্রেই বুলডোজার অভিযান চালানো হয়েছে।
আদালত জানিয়েছে যে, পৌরসভা এবং পঞ্চায়েতের জন্য আলাদা আইন রয়েছে। এই বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য প্রশাসনের একটি অনলাইন পোর্টাল থাকা প্রয়োজন। এতে একটি রেকর্ড থাকবে। ধর্মীয় সম্প্রদায়ের উপর বুলডোজার অভিযানের ব্যবহার প্রসঙ্গে আদালত বলেছে, “আমরা একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ, আমাদের নির্দেশিকা সব নাগরিকের জন্য, ধর্ম ও সম্প্রদায় নির্বিশেষে।”
[ আরও পড়ুন : রোমান সাম্রাজ্যের আদলে মণ্ডপ, থিমে কলকাতাকে টেক্কা দেওয়ার চেষ্টা ]
বিচারপতিরা বলেছেন, “দখলমুক্ত অভিযান অত্যন্ত জরুরি। যদি রাস্তা, ফুটপাথ, জলাশয়, রেলের জমি দখল করে কোনো ইমারত তৈরি হয়, তবে তা ভাঙা হবে। কারণ জননিরাপত্তা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। ধর্মীয় ইমারত হোক না কেন, গুরুদ্বার, দরগা বা মন্দির, কোনোটিই জনজীবনের বাধা হতে পারে না।” বিচারপতি গাভাই বলেছেন, “অননুমোদিত নির্মাণের ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট আইন থাকা আবশ্যক। এটি কখনও ধর্মীয় বিশ্বাসের উপর নির্ভর করবে না।”