চিত্র : সংগৃহীত
Bangla Jago Desk : চিকিৎসকদের কর্মবিরতি নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ সুপ্রিম কোর্টের। এই প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে ফেরার নির্দেশ দেয়। জানায়, ‘মঙ্গলবার বিকেল পাচটার মধ্যে কাজে না ফিরলে রাজ্য ব্যবস্থা নিতে পারে। আমরা নির্দেশ দিচ্ছি কাজে ফেরার। নির্দেশ সত্ত্বেও কাজে না ফিরলে ব্যবস্থা নিতে রাজ্য সরকার।‘ কর্মবিরতির জন্য এখনও পর্যন্ত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানাল রাজ্য। তারপর চলতে থাকা কর্মবিরতি নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ সুপ্রিম কোর্টের।
[ আরও পড়ুন : নির্যাতিতার দেহ ছিল অর্ধনগ্ন, সুপ্রিম কোর্টে জানালেন সিবিআই আইনজীবী ]
এদিন শুনানিতে রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বলের কাছে মৃতদেহের ময়না তদন্তের চালান দেখতে চান প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। সেখানে কার কার সই আছে তা জানতে চান। প্রধানবিচারপতির প্রশ্নে কপিল সিব্বল জানান, এই মুহূর্তে তাঁর কাছে চালানের কপি নেই। তখন সিবিআই-কে তা দিতে বলেন প্রধান বিচারপতি। সলিসিটর জেনারেল দাবি করেন, যে নথিপত্র দেওয়া হয়েছিল সিবিআই-কে, তাতে চালান ছিল না। এরপর প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, চালান ছাড়াই ময়না তদন্ত হয়েছে? তা কীভাবে সম্ভব?
[ আরও পড়ুন : পরবর্তী শুনানি আগামী মঙ্গলবার, আরজি কর মামলায় আর কি জানাল সুপ্রিম কোর্ট ]
এর আগে আরজি কর মামলার শুনানিতে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা কখন যুক্ত হয়েছিল তা জানতে চায় সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি জানতে চান, অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা কখন যুক্ত করা হয়েছিল। জবাবে রাজ্যের তরফে বলা হয়, দুপুর ১টা ৪৭ মিনিটে ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছিল। এর পর দুপুর ২টো ৫৫মিনিটে অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা যুক্ত করা হয়েছিল। এরপর প্রধান বিচারপতি জানতে চান কখন জেনারেল ডায়েরি কখন করা হয়েছিল। এই প্রশ্নে রাজ্য জানায়, জেনারেল ডায়েরি হয়েছিল দুপুর ২টো ৫৫মিনিটে।
সিসিটিভি ফুটেজ কি পেয়েছে সিবিআই, আরজি কর মামলায় জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট। আরজি করের ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজে অভিযুক্তকে প্রবেশ করতে এবং বার হতে দেখা গিয়েছিল। ফলে সেই সময়ের অর্থাৎ ভোর সাড়ে ৪টে থেকে ফুটেজ থাকার কথা। ওই ফুটেজ কি সিবিআইকে দেওয়া হয়েছিল? এদিন শুনানিতে রাজ্যের কাছে জানতে চাইলেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। এরপর সিবিআই-এর তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, ২৭ মিনিটের মোট চারটি ক্লিপিংস দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে।