Bangla Jago Desk : কৃষকরা নিজেদের দাবি-দাওয়া কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পৌঁছে দিতে ১৩ ফেব্রুয়ারী পঞ্জাব থেকে কয়েক হাজার কৃষক রওয়া হয়েছিল দিল্লির উদ্দেশ্যে। আন্দোলনকারীদের পঞ্জাব-হরিয়ানার সম্ভু সীমানাতেই আটকে দেয় হরিয়ানা পুলিশ। দুপক্ষের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরেই দফায় দফায় চলে সংঘর্ষ। সেই থেকেই সীমানার সামনে বসেই আন্দোলন চালিয়ে যান কৃষকরা। কৃষকদের বিক্ষোভ শুরু পর থেকেই প্রায় দু সম্পাহ বন্ধ ছিল সিঙ্ঘু ও টিকরি সীমানা।
তবে ২৫ ফেব্রুয়ারি খুলে দেওয়া হয় সেই দুই সীমানাই। এরপর দিন কয়েকের জন্য বিরতির ছিল কৃষকদের দিল্লি চলোর ডাক। তারপর আবারও কৃষকদের দিল্লি চলো কর্মসূচী এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা। গত ৩ মার্চ কিসান মোর্চার নেতা সরবরন সিং পান্ধে, বুধবার ফের রাজধানীতে ঢোকার চেষ্টা করার কথা জানিয়েছিলেন। সঙ্গে বলেছিলেন, যাঁরা ট্র্যাক্টর নিয়ে দিল্লি ঢুকতে পারবেন না, তারা ট্রেন অথবা অন্। পরিবকহন ব্যবহার করে দিল্লি পৌঁছতে পারেন। সেই মতো বুধবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে কৃষকদের তোড়জোড়। তবে দিল্লি পৌঁছনোর পরিকল্পনা তারা কীভাবে শুরু করেছেন সেসম্পর্কে বিশদে কিছুই জানা য়ায়নি।
অন্যদিকে আন্দোলনকারীদের হুঁশিয়ারির পর থেকেই কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে দিল্লি। শম্ভু, সিংঙ্ঘু এবং টিকরি সীমানাতে পাহাড়া বৃদ্ধি করেছে পুলিশ। তবে এই মুহূর্তে পঞ্জাব, হরিয়ানা উত্তরপ্রদেশ তো বটেই, এছাড়া দেশের আরও কয়েকটি রাজ্য থেকে কৃষকদের কৃষকদের রাজধানীতে প্রবেশ করার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সীমানার সঙ্গে সঙ্গি দিল্লির বিভিন্ন জায়গাতেই নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করেছে দিল্লি পুলিশ।