ad
ad

Breaking News

X handel

বন্ধ আট হাজার এক্স হ্যান্ডেল! নির্দেশ কেন্দ্রের

বলা বাহুল্য, পহেলগাঁওতে সন্ত্রাসী হামলার পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারত।

Eight thousand X handles closed! Instructions from the center

চিত্র : নিজস্ব গ্রাফিক্স

Bangla Jago Desk: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ পরিস্থিতির মাঝেই আট হাজার এক্স অ্যাকাউন্ট বন্ধের নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেইসঙ্গে নির্দেশিকায় সাফ বলা হয়েছে, নির্দেশ মোতাবেক অ্যাকাউন্টগুলি ব্লক না করা হলে এক্স-এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হতে পারে। তাদের বিরুদ্ধে দেশবিরোধী পোস্ট করার অভিযোগ রয়েছে। এই নিয়ে এক্স তাদের গ্লোবাল গভর্নমেন্ট অ্যাফেয়ার্স অ্যাকাউন্টে একটি পোস্টে জানিয়েছে, ‘এক্সকে ভারত সরকার  ৮,০০০ এরও বেশি অ্যাকাউন্ট ব্লক করার নির্দেশ দিয়েছে।  তার মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাও। আর তা না মানা হলে জরিমানার পাশাপাশি কর্মীদের জেলে ভরার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।’

বলা বাহুল্য, পহেলগাঁওতে সন্ত্রাসী হামলার পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারত। প্রথমে সিন্ধু চুক্তি স্থগিত, আটারি সীমান্ত বন্ধ, পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিলের এরপর অপারেশন সিঁদুর। পাকিস্তানের একের পর এক জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারত। এখন চলছে অভিযান। তাই এই পরিস্থিতিতে আগেই সামাজিক মাধ্যমগুলি পোস্ট করা নিয়ে জারি করেছিল সতর্কতা। এই আবহে এবার দেশবিরোধি পোস্ট করার জন্য এবার বন্ধ করা হল প্রায় আট হাজার এক্স হ্যান্ডেল।

উল্লেখ্য, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক উস্কানিমূলক এবং বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই ঘটনার পরই কেন্দ্র সরকার মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর এবং ভুল তথ্য প্রচারের জন্য পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যমের ইউটিউব চ্যানেল সহ ১৬টি পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেল নিষিদ্ধ করেছিল। এছাড়াও বহু সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছিল। এবার অপারেশন সিঁদুরের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় যাতে এই ধরনের বিভ্রান্তিমুলক বা উস্কানিমূলক পোস্ট ছড়িয়ে না পড়ে তা রুখতে তৎপর হল কেন্দ্র সরকার।

তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রক এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রক অপারেশন সিন্দুরের পরবর্তী ঘটনা নিয়ে বিশেষ করে বিভ্রান্তিকর পোস্ট নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কড়া নজরদারি শুরু করে দিয়েছে। আর তাতেই উস্কানিমূলক পোস্ট করার দায়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় আট হাজারটি এক্স হ্যান্ডেল। একথায় বলা যায়, পাকিস্তানে ভারতের প্রত্যাঘাতের সময় যাতে না কোন ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়ে সেইদিকে বিশেষ নজর রাখছে কেন্দ্রীয় সরকার।