ad
ad

Breaking News

Indian Oil

আতঙ্কিত হয়ে কিনবেন না, জ্বালানি ও এলপিজি সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে: ইন্ডিয়ান অয়েল

মূলত ‘অপারেশন সিন্দূর’ নামে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (PoK) ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর জঙ্গি পরিকাঠামোর বিরুদ্ধে চালানো সমন্বিত মিসাইল হামলার পর থেকেই সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

Don't panic buy, fuel and LPG supply is normal: Indian Oil

চিত্র: সংগৃহীত

Bangla Jago Desk: ভারত-পাকিস্তান চলমান উত্তেজনার মধ্যেও দেশজুড়ে জ্বালানি সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে বলে আশ্বস্ত করল ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন লিমিটেড (IOCL)। শুক্রবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, “দেশের সর্বত্র আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে জ্বালানি মজুত রয়েছে এবং সরবরাহ ব্যবস্থা সচল রয়েছে। আতঙ্কিত হয়ে জ্বালানি বা এলপিজি কেনার কোনও প্রয়োজন নেই—সমস্ত আউটলেটেই তা সহজলভ্য।”

ইন্ডিয়ান অয়েল আরও জানায়, “আমাদের পরিষেবা বজায় রাখতে এবং সকলের জন্য নির্বিঘ্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে জনসাধারণের সহায়তা প্রয়োজন। অযথা হুড়োহুড়ি না করে শান্ত থাকুন, যাতে আমরা আপনাদের আরও ভালো পরিষেবা দিতে পারি।”

এই আশ্বাস এমন এক সময় এসেছে, যখন সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে পেট্রোল পাম্পে লম্বা লাইন এবং জ্বালানি মজুতের ছবি ও ভিডিও। মূলত ‘অপারেশন সিন্দূর’ নামে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (PoK) ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর জঙ্গি পরিকাঠামোর বিরুদ্ধে চালানো সমন্বিত মিসাইল হামলার পর থেকেই সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, পাঞ্জাবের সীমান্তবর্তী এলাকায় পেট্রোল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনতে ব্যাপক ভিড় লক্ষ করা গেছে। এক পেট্রোল পাম্প মালিক জানান, “সাধারণ দিনের তুলনায় বিক্রি তিনগুণ বেড়েছে। লোকজন আতঙ্কে বাড়তি মজুত করছে।”

পাকিস্তানের পাল্টা ড্রোন ও মিসাইল হামলার আশঙ্কায় বৃহস্পতিবার রাতে পাঞ্জাবের পাঠানকোট, অমৃতসর, জলন্ধর, হোশিয়ারপুর, মোহালি ও চণ্ডীগড়-সহ একাধিক শহরে ব্ল্যাকআউট বা নিয়ন্ত্রিত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতা কার্যকর করা হয়। PTI-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাত ৮:৩০টা নাগাদ পাঠানকোটে বায়ুসংক্রান্ত সতর্কতা সাইরেন বাজে। একইসঙ্গে জারি করা হয় ঘরে থাকার নির্দেশ।

এরই মধ্যে সীমান্ত বরাবর সিজফায়ার লঙ্ঘন করে পাকিস্তান গোলাবর্ষণ শুরু করেছে বলে সূত্রের খবর। ভারতের পাল্টা অভিযানে এখনও পর্যন্ত পাকিস্তানের ৯টি টার্গেট ধ্বংস হয়েছে বলে প্রতিরক্ষা সূত্রে জানা গেছে। সেইসঙ্গে অন্তত ১৬ জন বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে জনসাধারণকে ধৈর্য রাখার আবেদন জানিয়েছে ইন্ডিয়ান অয়েল। তারা জানায়, “আতঙ্কিত হয়ে আচরণ করলে জ্বালানির সরবরাহ ব্যাহত হতে পারে। সবার জন্য জ্বালানি নিশ্চিত করতে আমাদের সাহায্য করুন।”