সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: প্রশান্ত কিশোর আগেই ঘোষণা করেছিলেন এবং দিনক্ষণও জানিয়ে দিয়েছিলেন। সেই অনুযায়ী, বুধবার গান্ধীজয়ন্তীতে তাঁর রাজনৈতিক দল ‘জন সুরাজ’ আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে। ‘জন সুরাজ’ বিহারের রাজনীতিতে নতুন নাম নয়, গত দুই বছর ধরে বিহারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে এর সংযোগ রয়েছে। এই উদ্যোগ প্রান্তিক মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং কর্মসংস্থানের মতো বিষয়গুলি নিয়ে সরকারের উপর চাপ তৈরি করার উদ্দেশ্যে শুরু হয়েছিল। ২০২২ সালের গান্ধীজয়ন্তী থেকে প্রশান্তের ‘জন সুরাজ’ উদ্যোগের প্রাথমিক পর্যায়ের যাত্রা শুরু হয়েছিল, এবং দুই বছর পর সেই একই দিনে পটনায় এটি একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
প্রশান্ত কিশোর দুই বছর আগে ‘জন সুরাজ’ গঠনের কাজ শুরু করেছিলেন। বিহারের গ্রামে গ্রামে গিয়ে তিনি ছোট ছোট সভা এবং মিছিল করেছেন। তাঁর দাবি অনুযায়ী, বিহারের প্রতিটি প্রান্তে তাঁর দলের সংগঠন তৈরি হয়েছে এবং মূলত দলিত, মুসলিম, মহিলা এবং উচ্চবর্ণের ভোটারদের লক্ষ্য করছেন তিনি।
দলের সাংগঠনিক ক্ষেত্রে কে কোন দায়িত্বে থাকবেন, সে বিষয়ে এখনও পূর্ণ তথ্য প্রকাশিত হয়নি। প্রশান্ত কিশোর যদিও দল গঠনের পেছনে ছিলেন, তবে সাংগঠনিক নেতৃত্বের দায়িত্বে তিনি নাও থাকতে পারেন। অবসরপ্রাপ্ত কূটনীতিক মনোজ ভারতীকে দলের কার্যকরী সভাপতি করা হয়েছে। মধুবনীর দলিত মুখকে আপাতত দলের নেতৃত্বে রাখতে চাইছেন প্রশান্ত। আগামী বছরের মার্চে নতুন সভাপতি নির্বাচিত হবে, তার আগে পর্যন্ত মনোজ দায়িত্ব সামলাবেন।
প্রশান্ত কিশোর ঘোষণা করেন যে তাঁর দল আরএসএস এবং সংখ্যালঘুদের মিশ্রণ। তিনি গান্ধীর আদর্শ মেনে ধর্মনিরপেক্ষতা বজায় রাখতে চান। প্রশান্তের বিরুদ্ধে বিজেপির মদতে বিহারের রাজনীতিতে পা রাখার অভিযোগ ছিল, যা তিনি খণ্ডন করেছেন এবং বিজেপিকে এবং ‘পরিবারতান্ত্রিক’ দল আরজেডিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন। তাঁর মতে, বিহারের মানুষ এতদিন বাধ্য হয়ে সাম্প্রদায়িক বিজেপি এবং পরিবারতান্ত্রিক আরজেডিকে ভোট দিয়েছে, এবং এখন বিকল্পের প্রয়োজন।
পিকে আবারও স্পষ্ট করেছেন যে বিহারের নির্বাচনে তাঁর দলের প্রধান এজেন্ডা হল মদের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়া। তিনি বলেছেন, যদি তাঁর দল ক্ষমতায় আসে, তাঁর প্রথম কাজ হবে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা। বিহারে মদ নিষিদ্ধ থাকায় প্রতি বছর সরকারের ২০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হানি হচ্ছে, যা এখন থেকে শিক্ষা খাতে ব্যয় করা হবে।