চিত্র : সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: মহারাষ্ট্রে নতুন মুখ্যমন্ত্রী পদে দেবেন্দ্র ফড়নবীশের বসার সম্ভাবনা প্রবল। বৃহস্পতিবার আজাদ ময়দানে মেগা শপথ অনুষ্ঠান। শরিকী সংঘাত এড়াতে একনাথ শিন্দেকে বোঝানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ফড়নবীশ। বুধবার সকালেই বৈঠকে বসছে বিজেপি পরিষদীয় দল। ঠিক করা হবে মহারাষ্ট্রের নয়া সরকারের রূপরেখা।এই অবস্থায় বোঝাপড়ার বাঁধন শক্ত করতে এনডিএ-র শরিকী বৈঠক হচ্ছে বারবার। এর মাঝে এনডিএ-র সূত্র সন্ধান করা হয়েছে।যেখানে ঠিক হয়েছে, ক্ষমতাসীন জোট ৬-১-এর ফর্মূলা মেনে চলবে।অর্থাত্ ৬জন বিধায়ক পিছু একজন মন্ত্রী হবেন। সেইমতো বিজেপির মন্ত্রী হতে পারেন ২২জন এবং শরিক একনাথ শিন্দে গোষ্ঠীর তরফে মন্ত্রী হতে পারেন ১২জন,এনসিপি অজিত পাওয়ার গোষ্ঠীর পক্ষে মন্ত্রী হতে পারেন ৯ থেকে ১০জন।
কারণ হিসেব বলছে,মহারাষ্ট্রে ১৩২জন বিধায়ক রয়েছে বিজেপির হাতে।২৮৮ আসনের বিধানসভায় গেরুয়া শিবিরের পাল্লাভারী। তাই শরিকী সমঝোতা ঠিক রখতে উপ-মুখ্যমন্ত্রী করা হতে পারে একনাথ শিন্দের মতোই অজিত পাওয়ারকেও। আর দেওয়া-নেওয়ার রাজনীতির দাঁড়িপাল্লা ঠিক রাখতে মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ পদ বিজেপি নিজেদের হাতে রাখতে চায়।সেইমতো বুধবার মন্ত্রিসভা গঠনের আগে বিজেপির পরিষদীয় দল বৈঠকে বসছে।
বিরোধ বাঁধছে স্বরাষ্ট্র দফতর নিয়ে।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হিসেবে আরএসএস ঘনিষ্ঠ দেবেন্দ্র ফড়নবীশকেই চায় বিজেপি নেতৃত্ব।বিশেষ করে বাবা সিদ্দিকির খুনকে কেন্দ্র করে যেভাবে জোট সরকারের মুখ পোড়ে তারজন্য এনডিএ আর ঝুঁকি নিতে চাইছে না।এই অবস্থায় অজিত পাওয়ারের ঘনিষ্ঠ ছগন বুজবাল ঘোষণা করেছেন তাঁদের দলকে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী পদে বসাতে হবে। তাই সবকিছু ছাপিয়ে এখন একটাই প্রশ্ন,জোটের বাঁধন শক্ত রেখে বিজেপি কী এই রাজ্যে একাধিপত্য রাখতে পারবে ? নাকি ঝাঁকুনি দেবেন শরিক দলের নেতার ? উত্তরটা ভবিষ্যতের গর্বে নিহিত আছে।