Bangla Jago Desk: শনিবার বিকেলে আছড়ে পড়বে সাইক্লোন ‘ফেনজল’। শুক্রবার সকালেই মৌসম ভবন জানিয়েছিল, আপাতত সাইক্লোনের কোনও আশঙ্কা নেই। তবে বেলা বাড়তেই পরিস্থিতি বদলে যায়। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ, গভীর নিম্নচাপের পর পরিণত হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়ে। শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ের আকার নিয়েছে। শনিবার বিকেলে আছড়ে পড়বে সাইক্লোন। মৌসম ভবন জানিয়েছে, আজ শনিবার বিকেলে আছড়ে পড়বে সাইক্লোন ‘ফেনজল’।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, শনিবার তামিলনাড়ু-পন্ডিচেরি উপকূলে মহাবলীপুরম এবং কারাইকলের মধ্যবর্তী অংশ দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করবে ঘূর্ণিঝড়টি। তবে স্থালভাগে প্রবেশ করার আগে সেটি শক্তিক্ষয় করে গভীর নিম্নচাপেও পরিণত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে তামিলনাড়ুর উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের সম্ভাবনাও রয়েছে। ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার।
ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে চেন্নাই, ময়িলাদুথুরাই, তিরুভারুর, নাগাপট্টিনম, তিরুভাল্লুর, কাঞ্চিপুরম, চেঙ্গলপেট এবং কাড্ডালোর জেলায়। সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে ইতিমধ্যেই এই আট জেলায় স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে। নাগাপট্টিনম, তিরুভারুরের মতো উপকূলবর্তী জেলায় গত মঙ্গলবার থেকে তুমুল বৃষ্টি চলছে। সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। ফলে মঙ্গলবার থেকেই সেখানে স্কুল-কলেজ বন্ধ।
দুর্যোগ পরিস্থিতির মোকাবিলায় ইতিমধ্যে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দল মোতায়েন করার নির্দেশ দেন তিনি। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দেড় হাজারের বেশি ত্রাণশিবির প্রস্তুত রাখছে রাজ্য প্রশাসন।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাংলায়। সাইক্লোনের প্রভাবে বাংলার উপকূলবর্তী জেলায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। নিম্নচাপ ও মেঘ থাকার কারণে হঠাৎ বেড়ে গিয়েছে তাপমাত্রা। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে গিয়েছে। শীত শুরুর আগে গত অক্টোবর মাসে সাগরদ্বীপ ও পারাদ্বীপের মাঝামাঝি জায়গায় আছড়ে পড়েছিল সাইক্লোন ‘দানা’। তার প্রভাবে ব্যাপক বৃষ্টি হয় কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গে। এবার শীতের মাঝে তামিলনাড়ুতে আছড়ে পড়তে চলেছে ‘ফেনজল’।