চিত্র: সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: ওডিশার KIIT (কালিঙ্গা ইনস্টিটিউট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি) বিশ্ববিদ্যালয়ে নেপালি ছাত্রী প্রকৃতি লামসালের মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যায়, সহপাঠী ছাত্রী ও হোস্টেলের ওয়ার্ডেন তার কক্ষের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে।
How Students Broke In and Found Nepali Girl Hanging in KIIT Hostel Room….#KIITUniversity
Read More: https://t.co/HNLgWkJCHJ pic.twitter.com/a3bxAK7sPk— Republic (@republic) February 19, 2025
ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৫-এ প্রকৃতি লামসাল, KIIT বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের বি.টেক ছাত্রী, হোস্টেলের কক্ষে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। সহপাঠীরা বারবার ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে। তখন তারা প্রকৃতিকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। এই মর্মান্তিক দৃশ্য ক্যাম্পাসজুড়ে শোক ও ক্ষোভ ছড়িয়ে দেয়।
এই ঘটনার পরপরই ক্যাম্পাসে ৫০০-র বেশি নেপালি ছাত্রছাত্রী বিক্ষোভ শুরু করে। তাদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিদেশি শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও সহায়তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, যখন নিরাপত্তা কর্মী ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনে বলপ্রয়োগ করে বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে, ওডিশা সরকার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, যা প্রকৃতির মৃত্যুর কারণ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভূমিকা খতিয়ে দেখবে।
এদিকে, নেপাল সরকার জানিয়েছে, প্রকৃতি লামসালের মৃত্যুর যথাযথ ও আইনি সমাধান না হলে ওডিশার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ার জন্য নেপালি শিক্ষার্থীদের ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ (NOC) দেওয়া বন্ধ করা হতে পারে। নেপালের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, যদি পরিস্থিতির সুবিচার না হয়, তাহলে ওডিশার কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে নেপালি শিক্ষার্থীদের পড়ার অনুমতি বন্ধ করা হতে পারে। এই ঘটনার ন্যায়বিচারের দাবি ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে।