সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: ফিরছে ২০১৩-এর স্মৃতি! শ্রীখণ্ড মহাদেব যাত্রার পথে গত বুধবার রাত থেকে শুরু হয়েছে মেঘ ভাঙা বৃষ্টি। হিমাচল প্রদেশের শিমলা ও মান্ডিতেও মেঘভাঙা বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে প্রাণ গিয়েছে একজনের। নিখোঁজ অন্তত ২৮ জন। সবমিলিয়ে প্রকৃতির রোষে উত্তরের দুই পাহাড়ি রাজ্য।
[ আরও পড়ুন: মৃত ৩০০-র কাছে, ওয়েনাডের ভূমিধসে কাদামাটির তলায় আরও মৃতদেহ আটকে থাকার আশঙ্কা]
গত বুধবার রাত ১টার দিকে কুর্পান উপত্যকায় মেঘ ফেটে আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি হয় এবং গিরিখাতের জল বেড়ে যায়। যার কারণে শ্রী খন্ড মহাদেব যাত্রার প্রথম স্টপ বেস ক্যাম্প সিংহাড়ে কয়েক ডজন দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।একইসঙ্গে বাগিপুলে বাসস্ট্যান্ডসহ প্রায় ১০টি ঘরবাড়ি ও ২০টি যানবাহন বন্যায় ভেসে গেছে। যেখানে কেদাস ও ধরোপা পর্যন্ত অনেক স্থানে সেতুর মাধ্যমে মানুষের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।উদ্ধারকাজে নেমেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ, পুলিশকর্মী ও হোমগার্ড। ড্রোনের সাহায্যে নিখোঁজ ব্যক্তিদের তল্লাশি চলছে।
[ আরও পড়ুন: Kedarnath: কেদারনাথে মেঘ ভাঙা বৃষ্টি, আটকে ২০০ জন তীর্থযাত্রী]
অন্যদিকে মান্ডি জেলার পাধার মহকুমার থালতুখোদে মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে একজনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। ওই এলাকা থেকেও নিখোঁজ নয়জন, জানিয়েছেন মান্ডির ডেপুটি কমিশনার অপূর্ব দেবগণ। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বহু বাড়ি। বন্যা দুর্গতদের উদ্ধারে হাত মিলিয়েছে জেলা প্রশাসন ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। কুল্লুর মালানা খাদ ও বাগিপুলে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাছে মেঘভাঙার খবর পাওয়ার গিয়েছে। ঘটনায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কার সঙ্গে আরও বহু প্রাণও যেতে পারে বলে আশঙ্কা।বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে পার্বতী নদীর জল। হিমাচল প্রদেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।