চিত্র: সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: নীতিশ গড় থেকে উঠে এলো এক বড় সমস্যা। এখানে বহু মানুষ এমন আছেন যাঁরা ‘সরকারি নথি’ বলতে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড আর এমএনরেগার জব কার্ড বোঝেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ, ২০০৩ সালের ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম ছিল না, তাঁদের নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে হলে ঘোষণা করা ১১টি নথিপত্রের মধ্যে একটি দেখাতে হবে। কিন্তু অনেকের কাছে সেটাও নেই(Citizenship Crisis)। ফলে ভোটের আগে মহা বিপাকে তাঁরা।
[আরও পড়ুন: Delhi Incident: একই ঘর থেকে উদ্ধার ৩ যুবকের মৃতদেহ, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১]
বিএলও পিঙ্কি কুমারী এই বিষয়ে বলেন, “বেশিরভাগ লোকের নাম রয়েছে ২০০৩ সালের তালিকায়। কিন্তু নেই ৫ থেকে ৭ শতাংশ মানুষের। এদের মধ্যে অধিকাংশই দরিদ্র শ্রেণীর(Citizenship Crisis)। যা কাগজপত্র দরকার, তা এদের কাছে নেই।” দেখা যাচ্ছে, নতুন ভোটার তালিকা সংশোধনের যেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাতে সমস্যায় পড়েছেন গ্রামে থাকা দরিদ্র পরিবারগুলি। বলা ভালো, গোটা রাজ্যেই একই অবস্থা। যেই জটিলতা তৈরি হয়েছে, তাতে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন যে কিভাবে নিজেদের নাগরিকত্ব প্রমাণ করবেন। এই প্রসঙ্গে আরজেডি মুখপাত্র মৃত্যুঞ্জয় তিওয়ারি বলেন, “এই উদ্যোগে প্রধান উদ্দেশ্য দলিত, দরিদ্র ও তেজস্বীর ভোটারদের বাদ দেওয়া। এমনিতে সময় কম, তার উপর বর্ষা। কিভাবে শহর ছেড়ে গ্রামে এসে ফর্ম জমা দেবে মানুষ?” সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন জেডিইউ নেতা রাজকিশোর সিংও। তাঁর বক্তব্য, “প্রয়োজন রয়েছে সংশোধনের। কিন্তু এত তাড়াহুড়োর কোন দরকার নেই। অন্তত ছটা মাস সময় দেওয়া উচিত ছিল।”
লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/truthofbengal
প্রসঙ্গত, যেই ১১টি নথিপত্র দেখানোর কথা বলা হয়েছিল, সেগুলি সরকারি বা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার পরিচয়পত্র(Citizenship Crisis)।১ জুলাই ১৯৮৭ সালের আগে জারি হওয়া কোনও সরকারি নথি, বার্থ সার্টিফিকেট, পাসপোর্ট, এডুকেশনাল কোয়ালিফিকেশন সার্টিফিকেট, পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট সার্টিফিকেট, বনপালের সার্টিফিকেট, কাস্ট সার্টিফিকেট, এনআরসি অন্তর্ভুক্তি, পারিবারিক রেজিস্টার এবং জমির দলিল। এবার দেখার বিষয় এই সমস্যার সমাধান করতে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয় সরকারের তরফ থেকে। ভোটের আগে আরও জটিলতা বাড়ে কিনা, সেটাই এখন দেখার।