Bangla Jago Desk: মণিপুরে অশান্তি বেড়ে চলেছে। তাই ওঁদের মন পড়ে রয়েছে নিজের রাজ্যে। শুধু পেটের টানে এখন স্বজনের সঙ্গ ছেড়ে বাংলায় পড়ে রয়েছেন সার্কাস শিল্পীরা। বারুইপুরের রাসময়দানে অংশ নেওয়া শিল্পীরা অন্যদের হাসালেও নিজেদের মুখে হাসি বজায় রাখতে পারছেন না। শিল্পীদের কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে চিত্রাঙ্গদার রাজ্যের জ্বলন্ত সমস্যা।
অশান্তি কিছুতেই থামছে না। কখনও থমথমে আবহে কখনও উত্তেজনার আঁচে টগবগ করে ফুটছে মণিপুর। আর সেই মণিপুরের বহু সার্কাস শিল্পী মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছে বাংলায়। শুধুই পেটের টানে, শিল্পের প্রতি ভালোবাসার কারণে। আসলে এইসব শিল্পীদের কাজকর্ম ছড়িয়ে রয়েছে দেশের নানা প্রান্তে। সেইমতো তাঁরা সার্কাস নিয়ে রাজ্যে রাজ্যে ঘুরে বেড়ান। এখন বাঘ, সিংহ, হাতি, জলহস্তিদের উপস্থিতি দেখা যায় না।
তবুও রঙিন পোশাক পরে মণিপুরের শিল্পীরা কখনও ব্যালেন্সের খেলা কখনও আবার জাগলারির মাধ্যমে তাক লাগাতে তত্পর। সার্কাস শিল্পীদের ছন্দময় খেলা বা কসরত আসলে দর্শকদের মনোরঞ্জনের জন্য। সেই সার্কাস শিল্পের অন্দরমহলে বাংলা জাগোর ক্যামেরা পৌঁছাতেই নিজের রাজ্যের জাতিহিংসার বেদনার কথা তুলে ধরেন শিল্পীরা। শিল্পীদের মতে, হিংসার ঘটনা তাঁদের বড় পীড়া দিচ্ছে। দর্শকদের বিনোদনের রসদ জোগালেও তাঁদের মন একদম ভালো নেই। বিজেপি পরিচালিত রাজ্য সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে মুখ খুলতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা।
আত্মীয়-স্বজনদের ছেড়ে বারুইপুরের রাস মাঠে খেলা দেখাচ্ছেন মণিপুরের শিল্পীরা। জীবিকার টানেই তাঁরা পড়ে রয়েছেন বারুইপুরে। শত কষ্ট, দুঃখ, বেদনা, ভয় ও আতঙ্ক থাকলেও হাসিমুখে তারা সার্কাসে আসা দর্শকদের মনোরঞ্জন করে চলেছেন।মণিপুরের রাজধানী ইম্ফল থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে থৌবালে রয়েছে রবিন সিং, মোহন দাস, রৌশনদের পরিবার-পরিজন।
আর তাঁরা রয়েছেন শান্তির বাংলায়।এখন বারুইপুরে সার্কাসের তাঁবুতে তাঁরা শান্তিতে ঘুমোচ্ছেন। রবিন, মোহন সহ পুস্পা রানী এই রকম ১২ জন মণিপুরের যুবক-যুবতী এসেছেন রাসমাঠে সার্কাসে তাঁদের নানা আকর্ষণীয় খেলা দেখাতে। প্রতিদিন তিনটি করে শোয়ে চলে তাঁদের খেলা। এই রোলেক্স সার্কাসের মূল আকর্ষণ এই মণিপুরিরা। শিল্পীরা বলছেন, এই রকম মণিপুরের পরিস্থিতি হবে আদৌ তাঁরা ভাবেননি, ডবল ইঞ্জিনের সরকারের ব্যর্থতায় তাঁরা হতবাক, স্তম্ভিত ।