সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: ভারতের শীর্ষ স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (CDSCO) দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোকে ৩৫টি নির্দিষ্ট ডোজের যৌগিক ওষুধ (Fixed-Dose Combination বা FDC) সহ যেকোনো অনুমোদনহীন ওষুধের উৎপাদন, বিক্রি ও বিতরণ অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে।
এই ওষুধগুলোর তালিকায় রয়েছে ব্যথানাশক, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের ওষুধ, উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ, স্নায়বিক ব্যথা উপশমকারী, বন্ধ্যাত্ব নিরাময়ের ওষুধ ও পুষ্টি সম্পূরক। একাধিক ওষুধ একত্রে একটি বড়িতে মেশানো হলেও, এগুলোর বৈজ্ঞানিক যৌক্তিকতা নেই বলে জানিয়েছে CDSCO।
Painkillers, Fertility Drugs & Nutrition Supplements: Centre Cracks Down On 35 Unapproved Drug Combos @ChandnaHimani
— Aman Sharma (@AmanKayamHai_) April 16, 2025
এই ধরণের ওষুধকে ‘ককটেল’ ওষুধও বলা হয়। রোগীদের জন্য এগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ থাকায় কেন্দ্রীয় সংস্থা এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
১১ এপ্রিলের এক চিঠিতে, CDSCO প্রধান ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (DCGI) রাজীব সিং রঘুবংশী রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ওষুধ নিয়ন্ত্রকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, “এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য গুরুতর হুমকি। বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করতে হবে।”
CDSCO জানিয়েছে, তারা জানতে পেরেছে যে কিছু FDC ওষুধ নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা যাচাই না করেই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যা Drugs & Cosmetics Act 1940 এবং NDCT Rules 2019-এর পরিপন্থী।
চিঠিতে বলা হয়েছে, “এই ধরনের অনুমোদনহীন FDC ওষুধ রোগীদের জীবনের জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে, কারণ এগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। এতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, ওষুধের পারস্পরিক বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কা থাকে।”
বিভিন্ন রাজ্য নিজেদের নিয়মে এই ওষুধগুলোর অনুমোদন দিলেও কেন্দ্রীয় নিয়ম অনুসরণ করা হয়নি। ফলে একরকম অসামঞ্জস্যতা তৈরি হয়েছে গোটা দেশে। যখন ওষুধ প্রস্তুতকারীদের কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়, তখন তারা জানায়, তারা রাজ্য কর্তৃপক্ষের লাইসেন্স নিয়েই কাজ করেছে, তাই কোনো আইন ভাঙেনি।
DCGI সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে তাদের ওষুধ অনুমোদন প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনার নির্দেশ দিয়েছে এবং আইন ও নিয়মকানুন কঠোরভাবে মানার পরামর্শ দিয়েছে। এই নির্দেশনার মাধ্যমে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে ওষুধ নিয়ন্ত্রণে সমন্বয়ের ঘাটতি দূর করার চেষ্টা করা হচ্ছে, যাতে ভবিষ্যতে জনস্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে না পড়ে।