চিত্রঃ সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: বিগত মাসে ইয়েস ব্যাঙ্কের প্রাক্তন সিইও রানা কাপুর এবং অনিল আম্বানির রিলায়েন্স গ্রুপের দুটি সংস্থার বিরুদ্ধে জালিয়াতি লেনদেন সংক্রান্ত মামলায় চার্জশিট জমা পড়েছিল। সেই মামলায় এবার শিল্পপতি অনিল আম্বানির বিরুদ্ধে বড়সড় পদক্ষেপ নিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তদন্তকারী সংস্থাটি অনিল আম্বানির ৪০টি সম্পত্তি এবং মোট ৩ হাজার ৮৪ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে। ইডি আধিকারিকদের তরফে জানানো হয়েছে, গত অক্টোবর মাসের ৩১ তারিখ এই বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ কার্যকর করা হয়। বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তিগুলির মধ্যে রয়েছে মুম্বাইয়ের পালি হিলের বিলাসবহুল বসতবাড়ি, নয়াদিল্লির রিলায়েন্স সেন্টার সহ দিল্লি, নয়ডা, গাজিয়াবাদ, মুম্বাই, পুনে, থানে, হায়দ্রাবাদ এবং চেন্নাইয়ের একাধিক সম্পত্তি। রিলায়েন্স কমার্শিয়াল ফাইন্যান্স লিমিটেড (আরসিএফএল) এবং রিলায়েন্স হোম ফাইন্যান্স লিমিটেড (আরএইচএফএল) সংক্রান্ত মামলায় এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে (Anil Ambani)।
তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ইডি সূত্রে খবর, রানা কাপুরের সঙ্গে যোগসাজশে অনিল আম্বানি, যিনি সেই সময় এডিএ গ্রুপের চেয়ারম্যান ও রিলায়েন্স ক্যাপিটালের ডিরেক্টর ছিলেন, তিনি ইয়েস ব্যাঙ্কের তহবিল থেকে রিলায়েন্সের সংস্থাগুলিতে টাকা সরিয়েছিলেন। এই পদক্ষেপের ফলেই বেসরকারি ঋণদাতা সংস্থাটি বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে। জানা যায়, ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ইয়েস ব্যাঙ্ক আরএইচএফএল ইন্সট্রুমেন্টে ২ হাজার ৯৬৫ কোটি টাকা এবং আরসিএফএল ইন্সট্রুমেন্টে ২ হাজার ৪৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিল। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই সেই বিনিয়োগগুলি অনাদায়ী সম্পত্তিতে (এনপিএ) পরিণত হয়। ইডি-র তদন্তে আরও জানা যায়, রিলায়েন্স নিপ্পন মিউচুয়াল ফান্ডের মাধ্যমে অনিল আম্বানি গ্রুপের আর্থিক সংস্থাগুলিতে সরাসরি বিনিয়োগ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (SEBI)-এর স্বার্থ সংঘাত সংক্রান্ত নিয়ম অনুসারে নিষিদ্ধ ছিল। এই আর্থিক তছরূপের অভিযোগের ভিত্তিতে ২০২২ সালে ইয়েস ব্যাঙ্কের চিফ ভিজিল্যান্স অফিসারের অভিযোগের ভিত্তিতে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) দুটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছিল (Anil Ambani)।
Bangla Jago fb page: https://www.facebook.com/share/17CxRSHVAJ/
উল্লেখ্য, অনিল আম্বানির সংস্থাগুলি আগেই নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করেছে। সবমিলিয়ে প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকার তছরুপের অভিযোগ রয়েছে আর কমের প্রাক্তন কর্ণধারের বিরুদ্ধে। একাধিক ব্যাংকও তাঁর বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ এনেছে। সম্পত্তি বিক্রি করেও পাওনাদারদের দেনা মেটানোর চেষ্টা করেও তিনি এখনও পর্যন্ত সমস্যা মুক্ত হতে পারেননি (Anil Ambani)।