চিত্র : সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে মোটেই সন্তুষ্ট নয় কংগ্রেস। বিজেপির জয় অপ্রত্যাশিতও সঠিক নয় বলে দাবি করছে কংগ্রেস। তাই তারা নির্বাচনী কারচুপির অভিযোগ নিয়ে সোচ্চার।নির্বাচন কমিশন তাঁদের নেতাদের আক্রমণ করছে বলে সরবও হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন কংগ্রেসের নেতৃবৃন্দ।এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ।
ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে,অমূলক কোনও অভিযোগ করা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।রাহুল গান্ধী,মল্লিকার্জুন খাড়্গে সহ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বকে কড়া ভাষায় কমিশন এই বার্তা দেয়। কমিশনের এই কঠোর বার্তার পর পাল্টা চিঠি দেয় কংগ্রেস।চিঠিতে কংগ্রেসের তরফে লেখা হয়েছে, নিরপেক্ষতার পথ থেকে কমিশন যদি সরে আসে,তবে বলতে হবে এটি বেশ লক্ষ্যণীয় বিষয়।নির্বাচন কমিশনের জবাবি ভাষায় যদি এই নমুনা হয়,তাহলে আইনের আশ্রয় নেওয়া ছাড়া আরও কোনও বিকল্প পথ খোলা থাকছে না। কংগ্রেসের নেতাদের এই প্রতিবাদ পত্রে স্পষ্ট কমিশন বনাম কংগ্রেসের লড়াই জমে উঠতে পারে।
৮ অক্টোবর হরিয়ানায় বিধানসভা ভোটের গণনা হয়।গণনায় হারের পরেই ৭টি আসনে জালিয়াতির অভিযোগ তোলে কংগ্রেস। পরে আরও ছ’টি আসনে কারচুপি হয়েছে বলে কমিশনে অভিযোগ জানানো হয়। গণনার সময় অনেক ইভিএমের কন্ট্রোল ইউনিটের ব্যাটারি লেভেল ৯৯ শতাংশ দেখায় বলে কংগ্রেস নেতা বীরেন্দ্র সিং দাবি করেন। বেশ কয়েক জন নির্বাচনী এজেন্টকে ফর্ম ১৭সি-র অনুলিপি আনতে দেওয়া হয়নি বলেও কংগ্রেস নেতারা অভিযোগ করে। এমনকি, গণনা এজেন্টদের প্রাপ্ত ভোট মিলিয়ে দেখার সুযোগ দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি। যে ১৩টি আসন নিয়ে কংগ্রেসের অভিযোগ, তার মধ্যে ১২টিতেই ফুটেছে পদ্ম।কংগ্রেসের স্পষ্ট বক্তব্য,কমিশন যেখানে নিজে নিজেই স্বচ্ছতার সাফাই দিচ্ছে সেখানে আইনি পথ ছাড়া কংগ্রেসের সামনে আর কোনও পথ খোলা নেই।