চিত্র - সংগৃহীত
Bangla Jago Desk :মহাকুম্ভ নিয়ে সমাজবাদী পার্টির (সপা) সভাপতি অখিলেশ যাদব ক্রমাগত উত্তরপ্রদেশের ডাবল ইঞ্জিন সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে চলেছেন। এদিনও তিনি লোকসভায় মহাকুম্ভ দুর্ঘটনার বিষয়টি তুলে ধরে গেরুয়া শিবিরকে নিশানা করেন। রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আলোচনার সময় অখিলেশ বলেন, ডাবল ইঞ্জিন সরকার দুর্ঘটনায় নিহতদের সংখ্যা গোপন করেছে। তিনি বিজেপিকে কোণঠাসা করে প্রশ্ন তোলেন, কেন পরিসংখ্যানগুলি চেপে দেওয়া হচ্ছে এবং গোপন করা হয়েছে? অখিলেশ বলেন, মহাকুম্ভের আয়োজন সম্পর্কে স্পষ্টীকরণের জন্য সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা উচিত। মহাকুম্ভে পদদলিত হয়ে নিহতদের সঠিক পরিসংখ্যান দেওয়া উচিত। যারা পরিসংখ্যান গোপন করবে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
[আরও পড়ুনঃক্লাসের মধ্যেই ছাত্রের হাতে সিঁদুর পরেছিলেন! বিতর্কে ইস্তফা অধ্যাপিকার]
অখিলেশ এদিন বলেন, ‘সরকার ক্রমাগত বাজেটের পরিসংখ্যান দিচ্ছে, কিন্তু তাদের উচিত মহাকুম্ভে যারা মারা গিয়েছেন তাদের পরিসংখ্যানও দেওয়া। আমার দাবি হল, মহাকুম্ভের আয়োজন সম্পর্কে স্পষ্টীকরণের জন্য একটি সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা উচিত। মহাকুম্ভ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং হারানো এবং পাওয়া কেন্দ্রের দায়িত্ব সেনাবাহিনীর হাতে দেওয়া উচিত। মহাকুম্ভের ঘটনায় মৃতের পরিসংখ্যান, আহতদের চিকিৎসা, ওষুধ, ডাক্তার, খাবার, জল এবং পরিবহণের প্রাপ্যতা সংসদে উপস্থাপন করা উচিত। মহাকুম্ভ ট্র্যাজেডির জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত এবং যারা সত্য গোপন করছে তাদের শাস্তি দেওয়া উচিত। আমরা ডাবল ইঞ্জিন সরকারকে জিজ্ঞাসা করছি, যদি কোনও দোষ না থাকে তবে কেন পরিসংখ্যানগুলি চাপা দেওয়া হয়েছিল, লুকানো হয়েছিল এবং মুছে ফেলা হয়েছিল?’
সপা সুপ্রিমো এখানেই না থেমে বলেন, ‘হতাহতের কথা জানার পরেও, সরকারি হেলিকপ্টারটি থেকে ফুল বর্ষণ করা হয়। যখন জানা গেল যে, কিছু লোক প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের মৃতদেহ মর্গ এবং হাসপাতালে পড়ে আছে, তখনও সরকার হেলিকপ্টার থেকে লাশের উপর ফুল বর্ষণ করে। এটা কোন ধরণের সনাতন ঐতিহ্য? ঈশ্বর জানেন কত চপ্পল, জামাকাপড় এবং শাড়ি সেখানে পড়ে ছিল এবং সেগুলি সবই জেসিবি মেশিন এবং ট্র্যাক্টর ট্রলি ব্যবহার করে তোলা হয়েছিল। কেউ জানে না কোথায় ফেলে দেওয়া হয়েছে। সবকিছু লুকানোর জন্য শোনা যাচ্ছে যে তাদের খবর যাতে বেরিয়ে না আসে, তার জন্য কিছু চাপের সৃষ্টি করা হয়েছে এবং মিষ্টি খাওয়ানো হচ্ছে।’
[ আরও পড়ুনঃঅবৈধ অভিবাসীদের প্রত্যাবর্তন শুরু! ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা দিল মার্কিন সামরিক বিমান]
সমাজবাদী পার্টির প্রধান বলেন, ‘উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শোক প্রকাশও করেননি। দেশের রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর শোকপ্রকাশের ১৭ ঘন্টা পর রাজ্য সরকার সেই কাজ করে। এঁরাই সেইসব মানুষ যাঁরা আজও সত্যকে মেনে নিতে পারে না।’ বক্তৃতাকালে অখিলেশ বলেন, অনেক টিভি চ্যানেল এবং বিজ্ঞাপনে দেখানো হয়েছে, মহাকুম্ভে ১০০ কোটি মানুষের আগমনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদি আমি মিথ্যা বলি অথবা আমার দাবি মিথ্যা প্রমাণিত হয়, তাহলে আমি লোকসভা থেকে পদত্যাগ করব।’