চিত্র : নিজস্ব গ্রাফিক্স
Bangla Jago Desk: দেশ জুড়ে ডিজিটাল গ্রেফতারির ভয় দেখিয়ে টাকা লুঠের প্রবণতা অব্যাহত। এবার ডিজিটাল গ্রেফতারির শিকার হলেন দিল্লিতে ৯২ বছরের এক বৃদ্ধ। তাঁর কাছ থেকে ২.২ কোটি টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠেছে। সাইবার প্রতারণার ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। ধৃতরা হলেন গাজিয়াবাদের অমিত এবং অসমের বাসিন্দা হরি। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তরা সাইবার প্রতারণার সঙ্গে জড়িত একটি আন্তর্জাতিক সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত। তারা বৃদ্ধের কাছ থেকে টাকা হাতানোর পর সিন্ডিকেটে পাঠিয়েছিল। ইতিমধ্যেই বৃদ্ধের ২.২ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এই পুরো ঘটনা প্রসঙ্গে দিল্লি পুলিশের তরফে জানান হয়েছে, ওই বৃদ্ধ একজন অবসরপ্রাপ্ত সার্জন। বেশ অনেকদিন ধরে ওই বৃদ্ধের কাছে বিভিন্ন নম্বর থেকে বারবার করে ফোন আসত। অভিযুক্তরা নিজেদের টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার কর্মচারী বলে আখ্যায়িত করতেন। সেইসময় অভিযুক্তরা বৃদ্ধকে জানান তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি এফআইআর দায়ের হয়েছে। সেইজন্য তাঁকে গ্রেফতার করা হবে। এরপরেই গ্রেফতারি পরোয়ানার ভয় দেখিয়ে বৃদ্ধ কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয় ২.২ কোটি টাকা।
টাকা পাঠানোর পরই বৃদ্ধ বুঝতে পারেন তিনি সাইবার প্রতারণার শিকার হয়েছেন। দেরি না করে তিনি পুলিশে অভিযোগ জানান। তাঁর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত করতে শুরু করেন। এরপরেই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। পুলিশ অভিযুক্তদের কাছ থেকে ২.২ কোটি টাকা ছাড়াও তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে। এই ডিজিটাল গ্রেফতারির ঘটনায় দুই অভিযুক্ত ছাড়া আর কেউ যুক্ত ছিলেন কিনা তা এখন স্পষ্ট নয়। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু করেছে পুলিশ। বলা বাহুল্য, ডিজিটাল গ্রেফতারি হল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সরকারি সিবিআই, নারকোটিক্স শাখা, আরবিআই, ট্রাই, শুল্ক বা আয়কর আধিকারিক হিসেবে পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষকে ফোন করেন প্রতারকেরা। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে গুরুতর কোনও অভিযোগের কথা বলা হয়। এক বার ফাঁদে পা দিলেই ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ করা হয় সেই ব্যক্তিকে। বর্তমানে এই ফাঁদে পা দিয়ে ইতিমধ্যে বহু মানুষ প্রতারিত হয়েছেন।