Bangla Jago Desk: প্রকৃতির রোষে দেবভূমি। মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত উত্তরাখন্ড। গত বুধবার রাতে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ভয়াবহ ভূমিধস একাধিক এলাকায়। শুক্রবার পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আহত কমপক্ষে ৬ জন। একের পর এক ধস নামছে কেদারনাথ, চামোলি, টিহরীতে। গত কয়েক দিন ধরেই উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন এলাকায় ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। বুধবার থেকে বাড়ে বৃষ্টির পরিমাণ। আচমকাই মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে ধস নামে কেদারে। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, কেদারনাথ যাওয়ার রাস্তায় বেশ কিছু জায়গায় ধস নামার কারণে আটকে পড়েন পুণ্যার্থীরা।
[ আরও পড়ুন: Hina Khan: মেঝেতে বালিশে ছড়িয়ে মুঠো মুঠো চুল! বড়ো পদক্ষেপ ক্যান্সার আক্রান্ত হিনা খানের]
ভীমবলির কাছে ট্রেক রুটে ধস নেমে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন কেদারনাথের সঙ্গে। ওই এলাকায় প্রায় ৪৫০ জনের আটকে থাকার সম্ভাবনা। ভেসে গিয়েছে সোনপ্রয়াগ ও গৌরীকুণ্ডের কাছে কেদারনাথ হাইওয়েও ।প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরে চারধাম যাত্রা আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে । মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে কেদারনাথে ধস নেওয়ার কারণে আপাতত বন্যার্থীদের নিরাপত্তার জন্য চারধাম যাত্রা স্থগিত রাখা হয়েছে। আকাশ পথে উদ্ধার কার্যের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে বায়ুসেনার চিনুক ও একটি MI-17 কপ্টার। এই দুটি কপ্টারের মাধ্যমে লিঞ্চলি ও কেদারনাথ মন্দিরে আটকে পড়া পুণ্যার্থীদের উদ্ধার করা হচ্ছে।
কেদারনাথের রুটের ভীমবলি, রামবড়া, লিঞ্চলি এলাকায় আটকে থাকা প্রায় ৪২৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে কপ্টারে। সোনপ্রয়াগ, ভীমবলির মাঝে আটকে থাকা প্রায় ১,১০০ জনকে বিকল্প পথ দিয়ে উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’ অন্যদিকে ভারী বৃষ্টির জেরে হরিদ্বারে রুরকি তেহসিল এলাকায় ডেরা বস্তিতে একটি বাড়ি ভেঙে পড়েছে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন ৬ জন। কেদারনাথের সাথে যোগাযোগের জন্য খাড়াই পথে অস্থায়ী রাস্তা বানিয়েছে উদ্ধারকারী দল। সেই পথেই পূর্ণ্যার্থীদের উদ্ধারকার চালাচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।