ad
ad

Breaking News

Indian Student

Indian Student:অগ্নিগর্ভ ইরান থেকে ফিরলেন ১১০ জন ভারতীয় পড়ুয়া 

এর আওতায় প্রথম দফায় উত্তর ইরানের উরমিয়া মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির ১১০ জন পড়ুয়াকে আর্মেনিয়ায় স্থানান্তর করা হয়।

110 indian student return from iran

চিত্রঃ নিজস্ব গ্রাফিক্স

Bangla Jago Desk: ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের আবহে আটকে থাকা ১১০ জন ভারতীয় পড়ুয়া (Indian Student) অবশেষে দেশে ফিরলেন। তাঁদের নিয়ে আসা হয়েছে একটি বিশেষ বিমানে। বৃহস্পতিবার ভোররাতে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছয় এই বিশেষ বিমান। যাত্রীদের মধ্যে ৯০ জনই জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দা। ফলে দীর্ঘ উৎকণ্ঠার পর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন তাঁদের পরিবারের সদস্যরা।

[আরও পড়ুনঃ Trump Statement: ট্রাম্পের সুর বদল, নিলেন না ভারত-পাক যুদ্ধবিরতির কৃতিত্ব]

বলা বাহুল্য, ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইরানে আটকে থাকা ভারতীয় পড়ুয়াদের নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছিল। সেইজন্য সোমবার থেকে আটকে পড়া ভারতীয় পড়ুয়াদের (Indian Student) আর্মেনিয়া হয়ে ইরান থেকে সরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়। তার পরের দিনই ইরানে থাকা ভারতীয় নাগরিক এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের ভারতে আনার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিল ভারত সরকার।

[লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/Banglajagotvofficial/]

অন্যদিকে ইরান এবং ইজরায়েল যুদ্ধ পরিস্থিতির জেরে ইরানে থাকা ভারতীয়দের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে কেন্দ্রীয় সরকার শুরু করে বিশেষ উদ্ধার অভিযান— ‘অপারেশন সিন্ধু’। এর আওতায় প্রথম দফায় উত্তর ইরানের উরমিয়া মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির ১১০ জন পড়ুয়াকে আর্মেনিয়ায় স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে ইয়েরেভান বিমানবন্দর হয়ে তাঁদের দিল্লিতে নিয়ে আসা হয়। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল জানান, গত মঙ্গলবার থেকেই অপারেশন সিন্ধুর কাজ শুরু হয় (Indian Student)।

দ্রুত পদক্ষেপে পড়ুয়াদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। তাঁদের এই উদ্যোগের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করকে ধন্যবাদ জানিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন। যাঁরা ফিরেছেন, তাঁদের চোখে-মুখে এখনও আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। ২১ বছরের মাজ হায়দারের বাবা হায়দার আলি বলেন, ‘ ছেলে নিরাপদে ফিরেছে, এতেই আমি কৃতজ্ঞ। কিন্তু এখনও বহু ছাত্র ইরানে আটকে রয়েছে। তাঁদেরও ফিরিয়ে আনার অনুরোধ জানাই।’  আর এক পড়ুয়া মির খালিফ বলেন, ‘ আমরা নিজের চোখে দেখেছি মিসাইল উড়তে। আমাদের থাকার জায়গার কাছেই পড়ে বোমা। তখন মনে হয়েছিল, আর হয়তো বাঁচব না। এখন বুঝতে পারছি, আমরা কী ভয়ঙ্কর সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছি।’ তাঁর সঙ্গে সহমত প্রকাশ করেন ইয়াসির গফ্ফার।

তিনিও জানান, ‘তেহেরানের অবস্থা খুবই খারাপ। কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের ফিরিয়ে এনে যে উদ্যোগ নিয়েছে, তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।’  ফেরত আসা পড়ুয়াদের পরিবার এবং সহপাঠীরা এখন চাইছেন, যাঁরা এখনও ইরানে রয়ে গেছেন, তাঁদেরও দ্রুত ফিরিয়ে আনা হোক। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তাঁদের আবেদন, সকল ভারতীয় পড়ুয়াকে নিরাপদে ইরান থেকে ফিরিয়ে আনা হোক।