Bangla Jago Desk, মৌ বসু : গরমের দহনজ্বালার কোনো বিরাম নেই। তাপমাত্রার পারদ যেন শাটল ককের ওপর লম্ফঝম্প করেই চলেছে। খর বৈশাখে দাপটে ব্যাটিং করছে সূয্যিমামা। গরম যতই বাড়ছে ততই বাড়ছে হিটস্ট্রোকের পাশাপাশি ব্রেনস্ট্রোকের আশঙ্কাও। ডাক্তারদের মতে, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে গরমে ব্রেনস্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। এর মূল কারণ হল প্রবল গরম আর তাপমাত্রার হেরফের। বাইরে রোদে ঘুরে এসেই এসির প্রবল ঠান্ডার মধ্যে ঢুকে পড়া অথবা উল্টোটা ঘটলেও তাপমাত্রার হেরফের হচ্ছে। তাতেই বাড়ছে ব্রেনস্ট্রোকের আশঙ্কা। হৃদরোগের পর ব্রেনস্ট্রোকেই সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। সাম্প্রতিককালে দেখা যাচ্ছে পুরুষদের তুলনায় মহিলারা বেশি পরিমাণে ব্রেনস্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছেন। ৫০-৬০ বছর বয়সিরা যারা উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে ভুগছেন তাদের ব্রেনস্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি।
ব্রেনস্ট্রোকের উপসর্গ কী কী?
মুখ, হাত ও পায়ের তলা অবশ হয়ে যাওয়া। শরীরের একদিকের সঙ্গে অন্যদিকের বিরাট তফাৎ নজরে পড়ে। কথা বলতে অসুবিধা। কথা জড়িয়ে যাওয়া। দৃষ্টিশক্তির সমস্যা। তীব্র মাথার যন্ত্রণা। শরীর ভীষণ শক্ত হয়ে যায়।
ডাক্তারদের মতে, ২ রকমের ব্রেনস্ট্রোক হয়। মস্তিষ্কে অস্বাভাবিক ভাবে আচমকা শিরায় রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যায়। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের আশঙ্কা বাড়ে ৯৯%। এটাকে বলে সিসমিক স্ট্রোক। অন্যদিকে, মস্তিষ্কের শিরা ক্ষতিগ্রস্ত হলে রক্ত সঞ্চালন হঠাৎ অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে গিয়ে হয় হেমারেজিক স্ট্রোক। শরীরে প্যারালিসিস হয়ে যায়।
কীভাবে সতর্ক থাকবেন
নিয়মিত রক্তচাপ ও রক্তের শর্করার মাত্রা মাপতে হবে। বেশিক্ষণ রোদে একটানা থাকবেন না। হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। ব্রেনস্ট্রোকের উপসর্গ দেখলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের কাছে যান। প্রথম ১ ঘণ্টা খুব জরুরি। রোদ থেকে এসেই সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডায় ঢুকবেন না।