Bengla Jago Desk: কলকাতা থেকে ট্রেনে অথবা সড়কপথে কৃষ্ণনগর খুব বেশি দূর নয়। দুর্গাপুজো শেষ হল, এরপর লক্ষ্মী পুজো, কালীপুজো পেরিয়ে কিছুদিনের বিরাম। এরপর আরও উতসব আসি-আসি। বাংলায় বড়দিন উদযাপিত হয় যথাযথ মর্যাদায়। সংখ্যালঘু খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ বড়দিন পালন করেন ঘটা করে। আপামর বাঙালিরও বড়দিন প্রিয় একটি উতসব।বড়দিনের দিনে বেড়ানোর কোনও পরিকল্পনা থাকলে কৃষ্ণনগর চার্চ থেকে ঘুরে আসতে পারেন। কৃষ্ণনগর চার্চ বহুদিনের পুরনো।
এটি ১৮৮৬ সালে ডায়োসেস কিংবা ধর্মপ্রদেশে পরিণত হয়। ২০১১ সালে রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত সরকার ক্ষমতায় আসার পরে ২২টি জেলায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ঐতিহ্যরক্ষায় নানা ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা সম্পন্ন পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে বাংলার যে সাতটি গির্জাকে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম এই কৃষ্ণনগর চার্চ।কৃষ্ণনগর চার্চ আজও প্রাণবন্ত।
সারা বছরজুড়ে শত শত খ্রিস্টধর্মাবলম্বী মানুষ কৃষ্ণনগর চার্চে প্রার্থনা করতে আসেন। বিদেশিরাও আসেন চার্চে প্রার্থনা করতে।সংখ্যালঘু খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষের সান্নিধ্য পেতে চাইলে বড়দিনে ঘুরে আসতে পারেন কৃষ্ণনগর চার্চে। আরেকটা কথা বলার, কৃষ্ণনগরে তথা বাংলায় শিক্ষাবিস্তারে এই চার্চের ঐতিহাসিক ভূমিকা রয়েছে।বাংলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপের বিভিন্ন দেশগুলি থেকে যে সমস্ত পর্যটক বেড়াতে আসেন, কৃষ্ণনগর চার্চে গিয়ে নির্মল পরিবেশে প্রাণের শান্তিলাভ করেন ওঁরা প্রায় সকলেই। দর্শনীয় চার্চের অনুপম স্থাপত্যও।