Bangla Jago Desk: উপরের দিকে তাকালে খোলা নীল আকাশ। চোখের সামনে শ্বেতশুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘার ‘ঘুমন্ত বুদ্ধ’। এমন অপূর্ব দৃশ্যের দেখা মেলা ভাগ্যের ব্যাপার। কাঞ্চনজঙ্ঘার এমন দৃশ্য দেখতে আর রহস্যে মোড়া পাহাড়ি রাস্তায় ট্রেক করার অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে চলে আসুন পাহাড়ি গ্ৰাম টংলু তে।দার্জিলিংয়ে মানেভঞ্জন থেকে সান্দাকফু যাওয়ার পথে পড়ে এই টংলু গ্রাম। পাহাড়ের ১০,১৩০ ফুট উচ্চতায় এই ছোট্ট গ্রাম। অপূর্ব মায়াবী জায়গা এই টংলু। কুয়াশায় মোড়া চারদিক। আর পাহাড় যদি দেখতে চান তবে টংলুর বিকল্প হয় না।
ভারত ও নেপাল সীমান্তবর্তী এই নিরিবিলি গ্রাম। দার্জিলিংয়ের থেকেও উঁচুতে এর অবস্থান। সেকারণে কাঞ্চনজঙ্ঘার সঙ্গে তার যোগ আরও নিবিড়।সান্দাকফু যাওয়ার পথেই এর অবস্থান। এখানে যাওয়ার পথে মিলবে চিত্রে। সেখানেও অনেকে বেড়াতে যান। চিত্রে থেকে আরেকটু উপরে উঠলেই টোংলু। এখানে হাতে গোনা কয়েকটি বাড়ি রয়েছে। এই সব’কটি বাড়িতেই পর্যটকদের আপায়নের ব্যবস্থা রয়েছে। যদিও এই গ্রামে মানুষ বলতে মূলত পর্যটক আর হোটেলের মালিক-কর্মচারী। যেহেতু পাহাড়ের বেশ উঁচুতে অবস্থিত এই গ্রাম, তাই খুব একটা স্থানীয়র দেখা মেলে না।
সারা বছরই ঠান্ডা থাকে এখানে। পাহাড়ি সৌন্দর্যের সঙ্গে মেঘেদের আনাগোনা দেখে দিন কেটে যায় টংলুতে। তাই সপ্তাহান্তের ছুটিতে যাঁরা দার্জিলিং যাচ্ছেন তাঁরা একটা দিন কাটিয়ে আসুন এখানে। দার্জিলিং থেকে একবেলায় ঘুরেও আসতে পারেন এখানে। কি ভাবে যাবেন? হাওড়া অথবা শিয়ালদা গামী ট্রেনে করে পৌঁছে যান এনজেপি । সেখান থেকে সরাসরি গাড়ি ভাড়া করে আসতে পারেন টংলুতে। এ ছাড়াও বর্তমানে টংলুতে একাধিক হোমস্টে আছে তাই রাত্রিযাপন অনায়াসেই করতে পারবেন।