Bangla Jago Desk: চারপাশে কাঁটা দেওয়া ঝোপঝাড়। সেই ঝোপঝাড় থেকে বেরিয়ে আসছে হলুদ ডোরা কাঁটা জঙ্গলের রাজা। হ্যাঁ বাঘ মামার কথায় বলছি এখানে। রয়েছে বিশাল বড় এক ব্যাঘ্র প্রকল্প, যেখানে কেবল যে শুধু বাঘের দেখা পাওয়া যায় তেমন নয়, দেখা পাওয়া যায় ময়ূর, হরিণ সহ আরও নানা ধরনের বন্যপ্রাণীর। জিপ গাড়িতে করে সাফারি করতে করতে বন্যজন্তুদের সঙ্গে আলাপ করে নেন পর্যটকেরা। বাঘ দেখতে কম বেশি সকলেই ভালোবাসেন। শীত কাল আসা মানেই চিড়িয়াখানাগুলিতে উপচে পড়ে কচিকাচা থেকে শুরু করে বড়দের ভিড়। তবে ঐ খাঁচার মধ্যে বন্দি বাঘ থেকে মনটা ঠিক ভরে না।
বরং সবুজের মাঝে বিস্তীর্ণ জঙ্গলের মধ্যে সাফারি করতে করতে যদি দেখা যায় বাঘ মামাদের তাহলে কেমন হয়? এতক্ষনে বুঝতেই পেরে গেছেন কোন এক টাইগার রিজার্ভ এর কথা বলছি। একদমই ঠিক ভেবেছেন,আজ আপনাদের নিয়ে যাব সারিস্কা টাইগার রিজার্ভে। যা অবস্থিত ভারতের রাজস্থানে। রাজস্থানের আলওয়ার জেলায় অবস্থিত এই ব্যাঘ্র সংরক্ষণ। এই ব্যাঘ্র সংরক্ষণ ৮৮১ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। এই বনের চারপাশে রয়েছে কাঁটা জাতীয় শুষ্ক বন, ঝোপঝাড়, কখনও কখনও দেখা যায় ছোট বড় নানা আকারের পাথর। ১৯৫৮ সালে এই অভয়ারণ্যকে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। এরপর ১৯৮২ সালে জাতীয় উদ্যান হিসাবে ঘোষণা করা হয় এই অভয়ারণ্যকে।
হরিণদের বিচরণ ক্ষেত্র হিসাবে বিস্তীর্ণ তৃণভূমি ক্ষেত্র রয়েছে এখানে। পর্যটকেরা এখানে এসে জিপ গাড়িতে করে জঙ্গল সাফারি। সরু রাস্তা আর দুপাশে কাঁটা জাতীয় জঙ্গল, সেই জঙ্গলের মাঝখান থেকে উঁকি মারলে দেখা যায় ময়ূরের দল, পেখম মেলে এক পা দু পা করে হেঁটে বেড়াচ্ছে সবুজ তৃণভূমির ওপর। আবার ঐ জিপ গাড়ি করেই আরও একটু এগিয়ে গেলেই দেখতে পাওয়া যায় বানরের দল, আপনার কাছে যদি কোন খাবার বা জিনিস থাকে তাহলে সাবধান। কারণ এই বানরের দল আপনার হাত থেকে ছিনিয়ে নিতে পারে সামগ্রী। রয়েছে খরগোশ যারা ছোট্ট ছোট্ট হাতে গাছ থেকে ফল পেড়ে খাচ্ছে। ভাবছেন কিভাবে যাবেন? সারিস্কা টাইগার রিজার্ভ যেতে গেলে আলওয়ার স্টেশনে নামতে হবে আপনাকে। সেখান থেকে বাসে কিংবা ট্যাক্সি করে পৌঁছে যেতে পারবেন এই টাইগার রিজার্ভে। এছাড়াও আপনি চাইলে বিমান পথেও যেতে পারেন।