Bangla Jago Desk : শহর থেকে দূরে কোথাও যেতে ইচ্ছা করছে ? তবে চলুন যাই ভাওয়ালি । বেশ কয়েকটি হ্রদ ,ফলের বাগান , চা বাগান দ্বারা বিস্তৃত ভাওয়ালির পরিবেশ ভীষণ মন মুগ্ধকর।তীব্র গরমে ইট কাঠ পাথরের শহরে প্রাণটা হাঁসফাঁস করতে করতে মন চাইছে দূরে কোথাও প্রকৃতির কোলে ঘুরতে যেতে ? তাহলে আপনি যেতেই পারেন ভাওয়ালিতে। জায়গাটি ভীষণ মনোরম।
একে আপনি বলতেই পারেন প্রাকৃতিক স্বর্গ। বেশ কয়েকটি হ্রদ, ফলের বাগান , চা বাগান দ্বারা বিস্তৃত ভাওয়ালির পরিবেশ ভীষণ মন মুগ্ধকর। সবুজ পরিবেশে পাখিদের কলতান শুনে যেমন আপনার মন শান্ত হবে তেমন নানান রকম পাখি দেখতে দেখতে সময় অনায়াসে কেটে যায়। গরমের পরপরই এই জায়গার মাধুর্য সৌন্দর্য দ্বিগুণ হয়ে যায়। এখানে যাওয়ার সেরা সময় জুন থেকে সেপ্টেম্বর এবং ডিসেম্বর। যদিও পর্যটনের অন্যতম কেন্দ্র হওয়ায় এখানে প্রায় সারা বছরই পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে।ভাওয়ালির নিকটতম রেলওয়ে স্টেশন হলো কাঠগোদাম।
দিল্লি থেকে প্রতিদিন দুটো করে ট্রেন ভাওয়ালির উদ্দেশ্যে রওনা হয়, তারপর কাঠগোদাম থেকে ভাওয়ালি পর্যন্ত বাস এবং ট্যাক্সি সহজেই পাওয়া যায়। গন্তব্যে পৌঁছানোর পর পর্যটকরা মুক্তেশ্বর মন্দিরেও পৌঁছতে পারেন খুব সহজে। এই মুক্তেশ্বর মন্দির ভগবান শিবের উদ্দেশ্যে উৎসর্গীকৃত। এছাড়াও এখানে হিমালয়ের মনোরম দৃশ্য দেখা যায় অতি সহজেই। আর এই দৃশ্য দেখার জন্য প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটক ছুটে আসেন এখানে নানান প্রান্ত থেকে। আলমোড়া সুস্বাদু খাবার বন্যপ্রাণী জন্য বেশ বিখ্যাত।