ad
ad

Breaking News

North Bengal Tourism

অভয়ারণ্যের পাশেই অচেনা গ্রাম সালকুমার! কীভাবে যাবেন জেনেনিন

আলিপুরদুয়ার জেলার পূর্ব হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত জলদাপাড়া অভয়ারণ্য সাফারি করতে অনেকেই চান। এই অভয়ারণ্যের পাশেই রয়েছে সালকুমার নামক জঙ্গল সংলগ্ন এক ছোট্ট গ্রাম। যে গ্রামের আনাচে কানাচে লুকিয়ে রয়েছে প্রকৃতির অভূতপূর্ব দৃশ্য।

salkumar is an unknown village next to the sanctuary! know how to go there

Bangla Jago Desk: ফের তাপপ্রবাহের সতর্কতা পশ্চিমবঙ্গে। গরমে ভ্রমণে যাওয়ার জন্য ভ্রমণপিপাসুরা অনবরত খুঁজে চলেছেন শীতল গন্তব্যের ঠিকানা। আলিপুরদুয়ার জেলার পূর্ব হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত জলদাপাড়া অভয়ারণ্য সাফারি করতে অনেকেই চান। এই অভয়ারণ্যের পাশেই রয়েছে সালকুমার নামক জঙ্গল সংলগ্ন এক ছোট্ট গ্রাম। যে গ্রামের আনাচে কানাচে লুকিয়ে রয়েছে প্রকৃতির অভূতপূর্ব দৃশ্য। এই সালকুমার গ্রাম দিয়েই আপনি জলদাপাড়া অভয়ারণ্য সাফারি করতে পারবেন। জলদাপাড়া অভয়ারণ্য দক্ষিণ প্রান্তের গেট হল সালকুমার। জঙ্গল সংলগ্ন হলেও খুব অল্প বসতি রয়েছে এই গ্রাম জুড়ে।

সালকুমার, জঙ্গল সংলগ্ন এক ছোট্ট গ্রাম (ছবিঃ সংগৃহীত)

জলদাপাড়া অভয়ারণ্য ঘুরতে গেলে সালকুমার থেকে জিপগাড়ি ভাড়া এমনকি হাতির সাফারি গুলিও পাওয়া যাবে। সালকুমার যেতে হলে আপনাকে এই সময়ই যেতে হবে। কারণ বর্ষা কালে ডুয়ার্সের সমস্ত জঙ্গল বন্ধ থাকে। প্রায়  জুনের মাঝামাঝি সময় থেকে শুরু করে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকে জঙ্গল। তাই আপনাকে সালকুমার গেট দিয়ে জঙ্গল সাফারি করার ইচ্ছে হলে এই মে জুন মাস কিংবা ওইদিকে সেপ্টেম্বর মাসে যেতে হবে। এখানে আসলে চা বাগানের বাগিচাও দেখতে পাবেন।

সবুজে মোড়া, প্রকৃতির কোলে সালকুমার’এর সৌন্দর্য বর্ষায় বাড়ে দ্বিগুন (ছবিঃ সংগৃহীত)

প্রকৃতি যেন তার সবটুকু উজাড় করে দিয়েছে এই জঙ্গলে ঘেরা সালকুমারে। গ্রীষ্মের দহনজ্বালা থেকে বাঁচতে অনেকেই পাহাড়ি ডেস্টিনেশনে ভ্রমণ করছেন। সালকুমারের তাপমাত্রা ৩০ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি ঘোরাফেরা করছে। তবে যেহেতু গ্রামটি জঙ্গলে ঘেরা তাই সবুজ গাছের ছায়া রোদের তাপ থেকে মুক্তি দেবে । তাই এই গ্রীষ্মের সময়েও দক্ষিণবঙ্গের চেয়ে মনোরম আবহাওয়া পেয়ে যাবেন এখানে। সালকুমার এসে কেবল যে জলদাপাড়ার অভয়ারণ্য সফর করতে পারবেন তা নয়, যেতে পারবেন তোর্সা জঙ্গল সফরেও। আবার তোর্সা রাইনো ক্যাম্পে গিয়েও গণ্ডার দেখার মজা নিতে পারবেন। যদি আপনি এটা ভেবে থাকেন এই ঘন জঙ্গলে এসে থাকবেন কোথায়, তাহলে একদম ভুল ভাবছেন, সরকারি বেসরকারি অনেক গুলোই থাকার ব্যবস্থা এখানে আশেপাশে রয়েছে । তবে তার মধ্যে বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য রিসর্ট এভারেস্ট। সালকুমার থেকে একটু এগিয়ে গেলেই জলদাপাড়া অভয়ারণ্যের মধ্যে এই জনপ্রিয় রিসর্টটি আছে। এই রিসর্টে গেলে যেমন কোচবিহার রাজবাড়িতে থাকার সুযোগ পাবেন ঠিক তেমন ভাবেই তাজমজলে থাকার ও সুযোগ পেয়ে যাবেন। অবাক হচ্ছেন! অনেক রিসর্টই তো আছে যেখানে রুম থেকে শুরু করে খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা হয়ে থাকে দুর্দান্ত।





রিসর্ট এভারেস্ট (ছবিঃ সংগৃহীত)

কিন্তু তাজমহল এবং রাজমহলের ভিতরে থাকার সুযোগ কজনই বা পান। কেবল যে এখানে তাজমহল ও কোচবিহার রাজবাড়ির আদলে তৈরি হওয়া রুমে থাকার সুবিধা পাবেন তা নয়, মাটির নিচে থাকা, প্রকৃতির আদলে তৈরি বাঁশের কটেজে থাকার সুবিধাও এখানে পেয়ে যাবেন। বাচ্চাদের মন ভোলানোর জন্য খেলার জায়গাও রয়েছে এই রিসর্টে। সালকুমার যাওয়ার নিকটতম রেল স্টেশন হল ফালাকাটা রেলস্টেশন। তবে আপনি চাইলে হাসিমারা এবং নিউ আলিপুরদুয়ার থেকেও এই সালকুমার গ্রামে পৌঁছে যেতে পারবেন।