ad
ad

Breaking News

Saifur Forest

ট্রেকারদের স্বর্গরাজ্য সাইহুর ফরেস্ট

পাহাড়ে যাওয়া আর সেখানে গিয়ে পাহাড় ঘেরা জঙ্গলের মধ্যে ১ থেকে ২ দিন থাকার অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে চাইলে অবশ্যই পৌঁছে যান কালিম্পঙের সাইহুর ফরেস্টে।

Saifur Forest of Kalimpong

Bangla Jago Desk: পাহাড়ে যাওয়া আর সেখানে গিয়ে পাহাড় ঘেরা জঙ্গলের মধ্যে ১ থেকে ২ দিন থাকার অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে চাইলে অবশ্যই পৌঁছে যান কালিম্পঙের সাইহুর ফরেস্টে। নিরিবিলি, নির্জন এই জঙ্গলে এসে নদীর ধারে তাঁবু খাটিয়ে থাকা। একবার আসলে বারবার মন চাইবে এই পাহাড় ঘেরা জঙ্গলে ফিরে যেতে। গান গাইছে পাখি, হাতছানি দিচ্ছে পাহাড়, নীচে তিরতির করে বয়ে চলেছে নদী। আর ঠিক নদীর পারেই থাকা যায় তাঁবু খাটিয়ে।

ছোট বেলা থেকেই অনেকের স্বপ্ন থাকে বড় হয়ে বাইকে ট্রেক করে গিয়ে কোন এক পাহাড়ি গন্তব্যে পৌঁছানো। সেখানে গিয়ে পাহাড়ি নদীর ধারে তাঁবু খাটিয়ে রাত্রিযাপন। যে দিকেই চোখ যাবে কেবল পাহাড়ি সবুজে ঘেরা জঙ্গল, রাতের বেলা দূর থেকে ভেসে আসবে বন্য জন্তুর ডাক। ভুল করেও তাঁবুর বাইরে বেরোনো যাবে না। তাহলেই বিপদ। আমরা কম বেশি প্রায় সকলেই এই গা ছমছমে পরিবেশে এক থেকে ২ রাত কাটানোর স্বপ্ন দেখি। তবে আদেও কি এই স্বপ্ন সত্যি হতে পারে? একদম হতে পারে যদি পৌঁছানো যায় কালিম্পং জেলার সাইহুর জঙ্গলে।

[আরও পড়ুনঃ দৃশ্য-শ্রাব্য মাধ্যমে স্মার্ট ক্লাসে পড়াশোনা, ই-লার্নিংয়ে আগ্রহ বাড়ছে পড়ুয়াসমাজের 

সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক ইনফ্লুএন্সারদের আমরা দেখি যারা পাহাড়ের কোন এক গন্তব্যে পৌঁছে সেখানে গাছের ডালে মাচা তৈরি করে কিংবা তাঁবু খাটিয়ে থেকে সেখানেই পাথরে পাথরে সংঘর্ষে আগুন জালিয়ে নিজের হাতে রান্না করে খেয়ে থাকেন। এমনকি পাহাড়ি নদীর ধারে পড়ে থাকে ছোট বড় নানা আকারের পাথর। সেই পাথর কে মশলা বাটার পাত্র কিংবা খাবার খাওয়ার পাত্র হিসাবে বানিয়ে ফেলেন এই সমস্ত পাহাড় প্রেমী মানুষেরা। এতো কথা বলার কারণ একটাই। এইসব ভিডিয়ো দেখে আমাদের মনেও ইচ্ছে জাগে এইভাবে জঙ্গলে ঘেরা পাহাড়ের উঁচু ধাপে তাঁবু খাটিয়ে , সেই জঙ্গলের মধ্যেই রান্না করে, পাহাড়ি খরস্রোতা নদীর ধারে এসে স্নান করা, আদিম মানুষেরা একসময় যে জীবন কাটাতেন, সেই জীবন কাটাতে মন চাই।

[আরও পড়ুনঃ দুর্ঘটনার কবলে সেনা জওয়ানের বাস,দুর্ঘটনায় ৪ সেনা জওয়ানের মৃত্যু

নিরিবিলি, নির্ঝঞ্ঝাট সব চিন্তা মুক্ত হয়ে কেবল পাহাড়ি পাখিদের কলতান শুনতে শুনতে নিজের হাতে তৈরি খাবার খাওয়া। সামনে বয়ে যেতে দেখা পাহাড়ি নদী, আবার একটু দূরে গেলেই পাহাড়ি ঝোড়া, কৌতূহল এতটাই যে এই পাহাড়ি ঝোড়ায় ট্রেক করে উঠে পাহাড়ের চূড়ার আরও কাছাকাছি আসা। এতক্ষন যা বললাম তা গল্প বলে মনে হলেও এই সব কিছুর উপলব্ধি আপনি পেয়ে যাবেন সাইহুর ফরেস্টে এসে। কিভাবে যাবেন? প্রথমে ট্রেনে করে পৌঁছে যান এনজেপি, সেখান থেকে গাড়ি করে পৌঁছে যেতে হবে কালিম্পং। আর কালিম্পং এ এসে ট্রেক করে যাওয়া যায় এই পাহাড় ঘেরা জঙ্গলে। চাইলে পুরো রাস্তা ট্রেক করেই আসতে পারেন আপনি।