চিত্রঃ সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: একদিকে দার্জিলিং পাহাড়, অন্যদিকে কালিম্পং পাহাড়। মাঝে বয়ে চলেছে তিস্তা নদী। উত্তরবঙ্গের অত্যন্ত জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হল কালিম্পং। প্রকৃতি ঢেলে সাজিয়ে তুলেছে নিজেকে কালিম্পংয়ে। কালিম্পংয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পর্যটন দফতরের অধীনে ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের থাকার জন্য যে ক’টি ব্যবস্থা রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হল মর্গ্যান হাউজ ট্যুরিজম প্রপার্টি। সকলের কাছে এটি পরিচিত মর্গ্যান হাউজ হিসাবে।
কালিম্পং টাউনের দুরপিনদারা পাহাড়ের ওপরে ১৬ একর জমির ওপর দাঁড়িয়ে আছে সুদৃশ্য মর্গ্যান হাউজ। পাথর ও কাঠ দিয়ে তৈরি দোতলা বাড়িটি ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক স্থাপত্যর অনুপম নিদর্শন। পাটের কারবারি জর্জ মরগ্যান ১৯৩০ সালে এই বাড়ি তৈরি করান। ভারত স্বাধীন হওয়ার পরও দেশে ফিরে যাননি মর্গ্যান দম্পতি। ৬ এর দশকের গোড়ায় জর্জ মর্গ্যান প্রয়াত হন। তাঁর স্ত্রী মিসেস মর্গ্যানও ১৯৬৪ সালে দার্জিলিং জেলা হাসপাতালে প্রয়াত হন। মর্গ্যান দম্পত্তির কোনো সন্তান ছিল না। পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর সরকার এই মর্গ্যান হাউজকে অধিগৃহীত করে সরকারি রেস্ট হাউজ তৈরি করার পরিকল্পনা করেছিল।
Bangla Jago fb page: https://www.facebook.com/share/17CxRSHVAJ/
১৯৬২ সালে অসুস্থ হয়ে পড়েন জওহরলাল নেহরু। তাঁকে সুস্থ করে তোলার জন্য এখানে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু আচমকা তাঁর প্রয়াণে সবকিছু ভেস্তে যায়। ১৯৬৫ সালে পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন দফতরের হাতে আসে মরগ্যান হাউজ। কালিম্পং ক্যান্টনমেন্ট এরিয়া লাগোয়া মর্গ্যান হাউজ থেকে আকাশ মেঘমুক্ত পরিষ্কার থাকলে কাঞ্চনজঙ্ঘা পাহাড় খুব ভালো ভাবে দেখা যায়। নির্জন পরিবেশে গড়ে ওঠা মর্গ্যান হাউজের সিঁড়ি, মেঝে সব কাঠের তৈরি। নিরিবিলি নির্জন পরিবেশে একটু গা ছমছমে ব্যাপার আছে। মিসেস মর্গ্যানের আত্মা ঘুরে বেড়ান গল্প ছড়িয়ে অনেকেই একে ভূতের বাড়ির তকমা দিয়েছে। বহু রহস্য সিনেমার শুটিং হয়েছে এখানে। কিন্তু সরকারি কর্মচারীরা একে গাঁজাখুরি গল্প বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।