Bangla Jago Desk: শীতের মরশুমে ঘুরতে যেতে চান? কোথায় যাওয়া যায় ঠিক করতে পারছেন না। তাহলে ঘুরে আসুন উত্তরবঙ্গের মেঘালয় থেকে। বুঝতে পারলেন না? উত্তরবঙ্গের কোলে অবস্থিত মাঝিধুরা গ্রামকে অনেকেই মেঘালয় বলে থাকেন। এই পাহাড়ি অঞ্চলে মেঘেদের আনাগোনা,পাহাড়,পাইন বন সব কিছুই মুগ্ধ করে পর্যটকদের।
পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে ভেসে বেড়াচ্ছে মেঘ। এই পাহাড়ি অঞ্চলে মেঘ যেন চড়ে গাভির মতো। জানালা খুললেই সেই মেঘ ঢুকে পড়ে ঘরের ভিতর। চারপাশে পাইন বন, আর সেই পাইন বনের ফাঁক দিয়েও মেঘ নেমে আসছে, এই অঞ্চলকে উত্তরবঙ্গের মেঘালয় বললেও ভুল হবেনা, সারাদিন ধরেই চলে মেঘেদের আনাগোনা। দার্জিলিং এর কাছেই এই মেঘে ঢাকা পাহাড়ি উপত্যকার নাম মাঝিধুরা। এই মাঝিধুরা গ্রামে পৌঁছানোর জন্য আপনাদের পৌঁছে যেতে হবে এনজেপি। সেখান থেকে সুখিয়াপোখরি হয়ে পৌঁছে যেতে পারবেন মাঝিধুরা গ্রামে। এই গ্রামে ঢোকার মুখেই দেখতে পাওয়া যায় গ্রামের মানুষদের সহজ সরল জীবনযাপন।
প্রত্যেক বাড়ির সামনেই দেখতে পাওয়া যায় শাক সবজি গাছ। এখানকার হোমস্টে গুলতে পাওয়া যায় অরগ্যানিক খাবার। নিজেদের বাগান থেকে সবজি তুলে এনে তা দিয়ে রান্না করে পর্যটকদের খাওয়ানো হয়।যে দিকেই টাকা যায় পাইন গাছে ঘেরা পাহাড়। রয়েছে নানা রঙের ফুলের বাহার। এই পাহাড়ি গ্রামে আসলে সকালটা শুরু হবে পাখিদের মধুর কলতান শুনে। শীতের মরশুম আসলেই এই মাঝিধুরা গ্রামে বরফ দেখা যায়। সাদা রঙের বরফে ঢেকে থাকে এই গ্রাম। দূরের দিকে তাকালে মেঘ সরলে দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ সৌন্দর্য। প্রকৃতির মাঝে এই মনোমুগ্ধকর পরিবেশে হারিয়ে যেতে কে না চায়।
এই গ্রামের কাছে রয়েছে বহু ভিউ পয়েন্ট। রয়েছে এক মনেস্ট্রিও। এই গ্রাম পায়ে হেঁটে দেখে নেওয়া যায়। মনেস্ট্রির আশেপাশের পরিবেশ ও আকর্ষণ করে পর্যটকদের। পাইনের জঙ্গলের মাঝে রয়েছে মনেস্ট্রি। এই পাহাড়ি গ্রামে একবার আসলে আর বাড়ি ফিরে যেতে মন চাইবে না আপনার। তাই দেরি না করে সামনে ছুটির দিন দেখে পৌঁছে যান এই পাহাড়ি গন্তব্য ভ্রমণে।